CAA: ‘মতুয়াদের কাছে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, তার প্রথম ধাপ’, CAA জল্পনা উস্কে দিলেন শান্তনু ঠাকুর

Shantanu Thakur: শান্তনু ঠাকুর বলেন, "আমাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমাদের প্রক্রিয়া চলছে। আমি মতুয়াদের কাছে যে প্রতিশ্রুতি করেছিলাম, সেটি যদি সম্পূর্ণভাবে গুজরাটে শুরু হয়... আমি মনে করি তার প্রথম ধাপ শুরু হল।"

CAA: 'মতুয়াদের কাছে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, তার প্রথম ধাপ', CAA জল্পনা উস্কে দিলেন শান্তনু ঠাকুর
কী বলছেন শান্তনু ঠাকুর?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 01, 2022 | 6:04 PM

কলকাতা: গুজরাটের জন্য বড় চমকের ঘোষণা করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Union Home Ministry)। পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে গুজরাটে আসা অ-মুসলিমদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান, জৈন, পার্সিদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর এরপর থেকে ফের একবার শুরু হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (Citizenship Amendment Act, 2019) নিয়ে চর্চা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মন্তব্য করেছেন, “এটা তো সিএএ-র পার্ট। সিএএ তো প্রণয়ন শুরু হয়ে গেল। ভারতের অঙ্গ পশ্চিমবঙ্গও। পশ্চিমবঙ্গেও হয়ে যাবে। সিএএ আইন তো দুটি সদনেই পাশ হয়ে গিয়েছে। এটা আমরা অপেক্ষা করছিলাম। নিশ্চয়ই রুল তাহলে হয়ে গিয়েছে। এই একই রুলে মতুয়া সমাজ, নমোশুদ্র সমাজ… যাদের ভিসা করতে গেলে, পারমিট করতে গেলে, চাকরির ক্লিয়ারেন্স আনতে গেলে বলা হয় একাত্তরের আগের দলিল আনো… আর সেই সমস্যা থাকল না। এক যাত্রায় তো পৃথক ফল হয় না।”

পশ্চিমবঙ্গেও সিএএ চালু হয়ে যাবে বলে শুভেন্দু অধিকারী যে জল্পনা উস্কে দিয়েছেন, তাতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে। আর সেই চর্চা আরও উস্কে দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা মতুয়া সমাজের অন্যতম প্রতিনিধি শান্তনু ঠাকুরের মন্তব্য। তিনি বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো যদি রাজ্য সরকার সমর্থন না করে, তাহলে সেটা করা সম্ভব হয় না। যেটা পশ্চিমবঙ্গের জন্য নেগেটিভ। কারণ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী এটিকে সমর্থন করেননি বলে রাজ্যে এটি লাঘু করা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু এখানেই আমাদের বড় সমস্যা। আমি মনে করি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে ডিক্লেয়ারেশন দিয়েছেন, সেটি একদম ঠিক। আমাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমাদের প্রক্রিয়া চলছে। আমি মতুয়াদের কাছে যে প্রতিশ্রুতি করেছিলাম, সেটি যদি সম্পূর্ণভাবে গুজরাটে শুরু হয়… আমি মনে করি তার প্রথম ধাপ শুরু হল। আগামীতে উত্তরপ্রদেশ সহ যেখানে যেখানে আমাদের সরকার রয়েছে, সেখানে সেখানে কার্যকর হবে।”

যদিও তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলছেন, “আমাদের স্ট্যান্ড অত্যন্ত পরিষ্কার। যাঁরা এই দেশে বহু বছর ধরে আছেন, যাঁদের ভোটার কার্ড আছে, যাঁরা ভোট দিয়ে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার নির্বাচিত করেন, তাঁরা সবাই নাগরিক। এটি আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেকদিন ধরে বলে আসছেন। আমাদের স্ট্যান্ড এখনও একই আছে।”

সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এই বিষয়ে বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী যে কথা বলেছেন, তাতে যদি মান্যতা দিতে হয়, তাহলে শুভেন্দু অধিকারীকেও স্বীকার করতে হয় দিল্লিতে সরকারি ব্যবস্থায় কোনও স্বচ্ছ্বতা নেই। কোনও বিজ্ঞপ্তি নেই সিএএ চালু করার, কোনও ঘোষণা নেই। অথচ শুভেন্দু অধিকারী জানিয়ে দিলেন। তাহলে কি ঘুরপথে পিছনের দরজা দিয়ে চালু করছে? এটাই কি উনি বলতে চাইছেন? আমি নির্দিষ্ট করে বলতে চাই, সংবিধান সম্মত মনোভাবের বাইরে চলার ঝোঁক বিজেপির থাকলেও, সেটা করতে পারবে না। ওখানে এটা কোনও নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রজেক্ট নয়। তাহলে আগেও বন্দোবস্ত করতে পারত। এটা ভোটের প্রজেক্ট।”