Duare Sarkar: ফাঁকা দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প, রাজনৈতিক চাপানউতর বিজেপি-তৃণমূলের
Duare Sarkar: ‘দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে ভিড় টানতে বিদ্যুৎ বিল মুকুবের টোপ দিচ্ছে’, তোপ শুভেন্দুর।
অন্যদিকে দুয়ারে সরকারে কাগজপত্র জমা দিয়ে সুবিধা পাননি নদিয়ার গয়েশপুর ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বেবি সরকার। তাঁর দাবি, বিগত তিনবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য ফর্ম ফিল আপ করেছিলেন, কিন্তু তাঁর স্বাস্থ্য সাথী কার্ড না হওয়ায় লক্ষীর ভাণ্ডার এখনও চালু হয়নি।
দুয়ারে সরকার শিবির নিয়ে শাসকদলকে কটাক্ষ করে শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “সরকারের ঘরে টাকা নেই। ফলে আবেদন করেও ভাতা পাচ্ছেন না বহু মানুষ। তাই অনেকে ফের ক্যাম্পে আসতে অনিহা প্রকাশ করছেন।” পঞ্চায়েতের আগে এই ক্যাম্প আসলে লোক দেখানো বলেও মত তাঁর। বিজেপির কটাক্ষকে গুরুত্ব দিতে চাইছে না শাসকদল। শিলিগুড়ির তৃণমূল নেতা রাজু পাল বলেন, “এর আগে একাধিক ক্যাম্পে অধিকাংশ মানুষ প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। ফলে সেভাবে ভিড় নেই ক্যাম্পগুলিতে।” পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে তাঁর দাবি, “মানবিক সরকার নানা কাজ করছে। ফলে মানুষ সরকার ও শাসকদলের পাশেই থাকবে।”
দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তাঁর সাফ দাবি, “রাজ্য সরকার নৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে ভিড় টানতে বিদ্যুৎ বিল মুকুবের টোপ দিচ্ছে!” সম্প্রতি ফেসবুক পোস্ট করে এ দাবি করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ফেসবুক পোস্টে শুভেন্দু লেখেন, ‘রাজ্য সরকার নৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে ভিড় টানতে বিদ্যুৎ বিল মুকুবের টোপ দিচ্ছে! যে রাজ্য ৩ মাসের বিল একসঙ্গে পাঠানোর পর, প্রথম মাসের বিল জমা দেওয়ার নির্দিষ্ট তারিখ পেরিয়ে গেলে, সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে বাড়িতে লোক পাঠিয়ে দেয় সেখানে কার বিল বাকি রয়েছে? প্রথমত বিদ্যুতের হার গগনচুম্বী, দ্বিতীয়ত বিল বকেয়া থাকলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ভয়ে দেখিয়ে অযৌক্তিক ভাবে জরিমানা আদায় করার রীতি যেখানে প্রচলিত, সেখানে বকেয়া মুকুবের টোপ, তাও আবার দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে আসলে তবেই ! সত্যি, এই সরকার শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে।’