Santanu Sen: ‘শান্তনুর লক্ষ্য মমতার দিকে’, জীবনের উপলব্ধির কথা ফেসবুকে শেয়ার করতেই খোঁচা সজলের

Santanu Sen: কাকে উদ্দেশ্য করে এই পোস্ট? একতরফা ভাবে কে কী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন? কী বলছেন বিরোধীরা? বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলছেন, “উনি সেদিকেই টার্গেট করছেন যে নাম উনি সরাসরি করতে পারবেন না।”

Santanu Sen: ‘শান্তনুর লক্ষ্য মমতার দিকে’, জীবনের উপলব্ধির কথা ফেসবুকে শেয়ার করতেই খোঁচা সজলের
ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে চড়ছে রাজনীতির পারদImage Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 11, 2023 | 5:21 PM

কলকাতা: জল্পনা ছিল। সেই জল্পনাকে কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিল তৃণমূলের চিকিৎসক-সাংসদ শান্তুনু সেনের ফেসবুক পোস্ট। সরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে পদ-প্রভাব খুইয়ে তৃণমূল সাংসদ ফেসবুকে লিখলেন, কান দিয়ে দেখলে ভুল সিদ্ধান্ত হতে বাধ্য। কার প্রতি অভিমানী শান্তুনু! বিরোধীরা বলছেন, আসলে তৃণমূলের যে বিভাজন চলছে স্বাস্থ্যে, চিকিৎসক নেতার পোস্টে তারই প্রতিফলন ঘটেছে।

সচরাচর এই ভূমিকায় তৃণমূল সাংসদ শান্তুনু সেনকে দেখা যায় না। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, দলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির খেলায় বরাবরই তিনি সাবধানী। মনে যা তা মুখে আনেন না। গত কয়েকদিনে স্বাস্থ্যক্ষেত্রের উলটপুরাণে সেই সেন মশাই ব্যতিক্রমী ভূমিকায়। দীর্ঘ ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘জীবনে যদি বারবার চোখ নয়, শুধু কান দিয়ে দেখে, একতরফা ভাবে শুধু একজনের কথা শুনে কেউ সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে ভুল সিদ্ধান্ত হতে বাধ্য…’

কাকে উদ্দেশ্য করে এই পোস্ট? একতরফা ভাবে কে কী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন? কী বলছেন বিরোধীরা? বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলছেন, “উনি সেদিকেই টার্গেট করছেন যে নাম উনি সরাসরি করতে পারবেন না। স্বাভাবিকভাবে মনে হয়েছে উনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করে বলছেন।” সম্প্রতি দু’টি সিদ্ধান্তই এ যাবৎ স্বাস্থ্যক্ষেত্রে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। এক, আরজি করের অধ্যক্ষের প্রত্যাবর্তন। দুই, আরজি করের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের পদ থেকে শান্তুনু সেনের অপসারণ। তৃণমূল শিবিরের বক্তব্য, অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ফেরা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আসলে স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তার পদ সহ আগামী দিনে স্বাস্থ্যের প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদই ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলের নেতা সুশান্ত রায়, সুদীপ্ত রায়ের হাতে যেতে বসেছে। ক্ষমতার অলিন্দে শক্তিশালী এই শিবিরের প্রাণভ্রোমরা আবার ‘মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসক’ হিসাবে নিজেকে পরিচয় দেওয়া অর্থোপেডিক শ্যামাপদ দাস। অভিযোগ তো তেমনই। মঙ্গলবার রাতে এই অভিযোগকে সামনে রেখেই বেসরকারি স্বাস্থ্যক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত এই চিকিৎসকের নামে স্বাস্থ্য ভবন চত্বর জুড়ে বেনামি পোস্টার পড়েছে। পোস্টার কাণ্ডে তিনি গুরুত্ব দিতে নারাজ বলে টিভি নাইন বাংলাকে জানিয়েছেনে প্রবীণ চিকিৎসক। নিজের ফেসবুক পোস্ট দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বলে দাবি করেছেন শান্তুনুও। স্পষ্ট বলছেন, “আমি একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ। মিশনের ছাত্র। আমি নিজের জীবনের উপলব্ধির কথা বলেছি। আমার সঙ্গে যারা প্রতিনিয়ত থাকে নিঃস্বার্থভাবে, তারা যদি কোনওভাবে আমার কারণে দুঃখ পায়, তাহলে সেটা আমার পক্ষেই ভাল নয়।”