‘পেট্রলের দাম বাড়ছে কেন?’ সাইকেল চালিয়ে বিধানসভায় এসে প্রতিবাদ মন্ত্রীর

আজ, সিঙ্গুর থেকে সাইকেল চালিয়ে বিধানসভায় এলেন সিঙ্গুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না (Becharam Manna)।

'পেট্রলের দাম বাড়ছে কেন?' সাইকেল চালিয়ে বিধানসভায় এসে প্রতিবাদ মন্ত্রীর
সাইকেলে সিঙ্গুরের বিধায়ক
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 07, 2021 | 1:46 PM

কলকাতা: পেট্রলের দাম যে ভাবে বাড়ছে, তাতে সাইকেলের ওপরেই ভরসা করতে হবে! এমন বার্তা দিয়েই অভিনব প্রতিবাদ রাজ্যের মন্ত্রীর। সিঙ্গুরের বাড়ি থেকে সাইকেলে চেপেই বিধানসভায় এলেন সিঙ্গুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না। গত কয়েকদিন ধরেই বিভিন্নভাবে মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানাচ্ছে তৃণমূল। ইতিমধ্যে এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদের কর্মসূচী নিয়েছে ঘাসফুল শিবির।

আজ, বুধবার বিধানসভায় তৃণমূল সরকারের বাজেট অধিবেশন। সেই অধিবেশনে যোগ দিতেই সাইকেলে চেপে এলেন বেচারাম মান্না। এ দিন রাস্তায় তাঁর সঙ্গী হয়েছিলেন অন্যান্য তৃণমূলকর্মীরাও। এ দিন সকাল ৮টা নাগাদ রতনপুরের বাড়ি থেকে বেরিয়ে সাইকেল নিয়ে মিছিলে সামিল হন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী। জগাছা থেকে তাঁর সঙ্গে যোগ দেন ডোমজুড়ের বিধায়ক কল্যাণ ঘোষও। তাঁদের সাইকেলে লাগান ছিল একাধিক ব্যানার, যাতে লেখা, ‘পেট্রলের দাম বাড়ছে কেন?’, ‘রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ছে কেন?’

বুধবার কলকাতায় ৩৯ পয়সা বেড়ে লিটারপ্রতি পেট্রলের দাম দাঁড়িয়েছে ১০০ টাকা ২৩ পয়সা। ডিজেলের দামও ২৩ পয়সা বেড়ে এখন ৯২ টাকা ৫০ পয়সা। পশ্চিমবঙ্গ-সহ অন্যান্য রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিধানসভা ভোটের পর লাগাতার দাম বেড়েছে পেট্রলের। ২ মে ফলপ্রকাশ হয়েছিল বিধানসভা নির্বাচনের। তারপর ৪ মে থেকে এ পর্যন্ত মোট ৩৬ বার পেট্রলের দাম বেড়েছে। ৩৬ বারে পেট্রলের দাম বেড়েছে ৯ টাকা ৬১ পয়সা। আর গত এক বছরে পেট্রলের দাম বেড়েছে ১৮ টাকা ১৩ পয়সা। গত ১ বছরে ডিজেলেরও দাম বেড়েছে ১৭ টাকা ৮৬ পয়সা।

আরও পড়ুন: ভরদুপুরে খাস কলকাতায় বাড়িতে ঢুকে গণধর্ষণ, চুরি লক্ষাধিক টাকা

এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আজ বলেন, ‘২০১৪ থেকে বিশ্ববাজারে তেলের দাম কত বাড়ল আর পেট্রলের দাম কত বেড়েছে দেখুন।’ তাঁর পেট্রলের দাম কমাতে সরকার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন,’আমরাও চাইব দাম কম হোক। কিন্তু পুরোটা সরকারের হাতে নেই। কেন্দ্র রাজ্য সবাই যদি একসঙ্গে চেষ্টা করে, সেজ কমায় তাহলে সুবিধা হবে।’