JU Student Death: যাদবপুরের ঝিলে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল ছেলের, সুবিচারের আশায় এখনও লালবাজারে হত্যে দিচ্ছেন প্রাক্তন পুলিশকর্মী
JU Student Death: যখন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য, ঠিক তখনই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তন এক ছাত্রের মৃত্যুর বিচারের আশায় প্রাক্তন পুলিশ কনস্টেবল বাবা। ঘুরছেন পুলিশ কর্তাদের দরজায় দরজায়।
কলকাতা: চলতি বছরের মার্চে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) ক্যাম্পাসের মধ্যে থাকা ঝিলের মধ্যে ডুবে মৃত্যু হয় এক প্রাক্তন ছাত্রের। সেই ঘটনার ঠিকঠাক তদন্ত হচ্ছে না বলে দাবি করলেন তাঁর বাবা। তাঁর সাফ দাবি, “একটা ৫ ফুট ১১ ইঞ্চির ছেলে দুপুরে জলে ডুবে যাবে এটা আমি ঠিক মেনে নিতে পারছি না। পুলিশ তো বলছে ডুবে গিয়েছে। এটা আমি মেনে নিতে পারছি না।” প্রসঙ্গত, যাদবপুরে প্রথমবর্ষের পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর পর থেকে জোরালো হয়েছে র্যাগিংয়ের অভিযোগ। হস্টেলের দাদাদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছেন মৃত ছাত্রের বাবা। এরইমধ্যে আরও এক অভিভাবকের এই বিস্ফোরক মন্তব্যে নতুন করে শুরু হয়েছে শোরগোল।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর হোলির দিন ক্যাম্পাসের মধ্যে মহঃ আসিফ মণ্ডল নামে এক ছাত্রের মৃত্যু হয়। অতীতের ঘটনা থেকে জানা গিয়েছে, ওইদিন সকাল থেকেই কয়েকজন ছেলে-মেয়ে ঝিলপাড়ে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই আবার আসিফের বন্ধু বলে খবর। দুপুর ৩টে ১৫ নাগাদ আচমকা ঝিলে পড়ে যান আসিফ। তাঁর বন্ধুদের দাবি ছিল এমনই। আর ওঠেননি। খবর দেওয়া হয় যাদবপুর থানায়। আসে পুলিশ। আসে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। তাঁরাই ঝিলে নেমে বিকেল ৪টে ২০ নাগাদ উদ্ধার করে আসিফকে। এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আসিফ ২০২২ সালে আর্কিটেক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে পাশ করেন বলে জানা যায়।
ঘটনার পর কেটে গিয়েছে প্রায় এক বছরেরও বেশি সময়। জল গড়িয়েছে অনেকটাই, সাম্প্রতিক কালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হোস্টেলের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনাও সামনে এনেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার বেআব্রু চেহারা। এবার ওই মৃত ছাত্রের বাবার অভিযোগ, ঘটনার তদন্ত ঠিক মত হচ্ছে না। পুলিশের তরফেও কোনও সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। ঘটনাক্রমে মৃত ছাত্র মহম্মদ আসিফ মণ্ডলের বাবাও প্রাক্তন কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল। সেই প্রাক্তন পুলিশ কর্মী মহম্মদ একরালি মণ্ডলের অভিযোগ, কী করে তাঁর ছেলের মৃত্য হল তার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। একাধিকবার লালবাজার, যাদবপুর থানার দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। কিন্তু কোনও সুবিধাই করে উঠতে পারেননি। পুত্রহারা বাবার গলায় আক্ষেপের সুরও রয়েছে কিছুটা।
তাঁর বক্তব্য, ওই দিন ঘটনার সময় তাঁর ছেলের ৫ জন বন্ধু উপস্থিত ছিলেন। যার মধ্যে তিনজন ছেলে এবং দুজন মেয়ে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, স্বাভাবিক ভাবেই জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে মহম্মদ আসিফ মণ্ডলের। কিন্তু, তিনি সেটা কিছুতেই মানতে পারছেন না। হত্যে দিয়ে পড়ে রয়েছেন লালবাজারের দরজায়। চিঠি দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার, যুগ্ম কমিশনার ক্রাইম থেকে শুরু করে ডেপুটি কমিশনার গোয়েন্দা বিভাগকেও। আশা সুবিচার পাবেন।