CBI and ED on Narada Case: আবারও ইডি-সিবিআইকে বিধানসভায় ডাকলের অধ্যক্ষ

Tussle between West Bengal Assembly and ED-CBI: ফের ৯ নভেম্বর ইডি, সিবিআই আধিকারিকদের বিধানসভায় হাজির হওয়ার নির্দেশ দিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

CBI and ED on Narada Case: আবারও ইডি-সিবিআইকে বিধানসভায় ডাকলের অধ্যক্ষ
ফের বিধানসভায় তলব ইডি-সিবিআই-কে (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 28, 2021 | 11:42 PM

কলকাতা: ফের কেন্দ্রীয় দুই তদন্তকারী সংস্থাকে বিধানসভায় (Assembly) ডেকে পাঠালেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ফের সিবিআই, ইডিকে ডেকে পাঠালেন তিনি। আপাতত ঠিক হয়েছে, আগামী ৯ নভেম্বর বিধানসভায় যাবেন এই দুই সংস্থার আধিকারিকরা।

বিধায়ক-মন্ত্রীদের যদি কোনও তদন্তকারী সংস্থাকে ডেকে পাঠাতে হয় কিংবা তদন্ত প্রক্রিয়ায় যুক্ত করতে হয়, সে ক্ষেত্রে বিধানসভার অধ্যক্ষের অনুমতি প্রয়োজন হয়। কিন্তু এ রাজ্যে সিবিআই বা ইডি তদন্তে নামলেও আইন মেনে এগোয়নি বলেই অভিযোগ বিধানসভা কর্তৃপক্ষের। চার্জশিটে মন্ত্রী-বিধায়কদের নাম তুলে দিলেও, জানতেই পারেননি অধ্যক্ষ। সেই বিধি ভঙ্গের অভিযোগ ঘিরেই টানা প্রায় দেড় মাস ধরে চলছে টানাপোড়েন। যা আদালত অবধিও গড়িয়েছে।

ফের ৯ নভেম্বর ইডি, সিবিআই আধিকারিকদের বিধানসভায় হাজির হওয়ার নির্দেশ দিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার দেখার এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা বিধানসভায় যান নাকি আবারও আদালতের দরজায় কড়া নাড়েন তাঁরা।

বিধানসভার অধ্যক্ষ ইডি বা সিবিআই আধিকারিকদের ডেকে পাঠাতে পারেন কি না এই প্রশ্ন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল তদন্তকারী দুই সংস্থা। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে এর শুনানি ছিল চলতি মাসের প্রথম দিকে। সেখানে বিচারপতি বলেছিলেন, ‘স্পিকার – সিবিআই, ইডি দ্বৈরথ যথেষ্ট হয়েছে। সব ভুলে কাজে মন দিন।’ তবে একইসঙ্গে সেদিন আদালত জানিয়েছিল, ভবিষ্যতে সিবিআই, ইডি আধিকারিকদের যদি ফের বিধানসভায় ডাকা হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা চাইলে আদালতে যেতেই পারে। আবারও সেই পরিস্থিতিই উদ্ভূত হতে চলেছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহালমহল।

প্রসঙ্গত, তিন জনপ্রতিনিধি ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নারদ মামলায় ইডি চার্জশিট দেয়। সেই সূত্রে ইডির যে বিশেষ আদালত রয়েছে, তারা সমন পাঠায় বিধানসভাতে। মূলত অভিযুক্তদের কাছে তা পৌঁছে দিতেই বিধানসভায় তা পাঠানো হয়। এরপরই বিধানসভা কর্তৃপক্ষ জানতে পারে, চার্জশিটে এই তিনজনের নাম রয়েছে। কিন্তু জনপ্রতিনিধিদের চার্জশিটে রাখতে গেলে যে আইন রয়েছে, সেই আইন এ ক্ষেত্রে লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বিধানসভার সচিবালয় বলছে, ইচ্ছাকৃত ভাবেই তা করা হয়েছে। এই কারণ যেমন রয়েছে ইডি ও সিবিআইকে চিঠি দেওয়ার ক্ষেত্রে।

২০১৬-র বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির অফিস থেকে নারদ স্টিং অপারেশনের ভিডিও প্রকাশ করা হয়। সেখানে এক ডজনের উপর তৃণমূলে প্রভাবশালীকে টাকা নিতে দেখা যায়। যদিও সেই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি টিভি নাইন বাংলা। সেই সময় তৃণমূলে থাকা একাধিক নেতা এখন বিজেপিতে। এর মধ্যে মুকুল রায় ফের তৃণমূলে ফিরে এসেছেন। গত ১৭ মে সুব্রত-মদন-ফিরহাদকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এর পরই নতুন করে শিরোনামে উঠে আসে এই মামলা। অবশ্য তিনজনই জামিনে মুক্ত।

আরও পড়ুন: বড় খবর! এবার কলকাতাতেও কনটেনমেন্ট জ়োন!