AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

SSC Recruitment Scam: প্রাপ্ত নম্বর ‘শূন্য’ বেড়ে ৫৭, SSC গ্রুপ সি-র ৩৪৭৮ জনের তালিকায় নম্বরের বিরাট ফারাক

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় গ্রুপ সি-র তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

SSC Recruitment Scam: প্রাপ্ত নম্বর 'শূন্য' বেড়ে ৫৭, SSC গ্রুপ সি-র ৩৪৭৮ জনের তালিকায় নম্বরের বিরাট ফারাক
| Edited By: | Updated on: Mar 13, 2023 | 4:22 PM
Share

কলকাতা : ‘রুমাল’ যে কীভাবে ‘বিড়াল’ হয়ে গেল, আর কেলেঙ্কারির ব্যপ্তি যে ঠিক কতটা তা আরও একবার সামনে এল খোদ স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) প্রকাশ করা তালিকায়। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে সোমবার ৩ হাজারের বেশি গ্রুপ সি চাকরি প্রার্থীর নম্বরের তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি। ওএমআরের নিরিখে প্রাপ্ত নম্বর আর সার্ভারের নম্বরের মধ্যে কতটা ফারাক, তা উল্লেখ করা হয়েছে। আর সেই ফারাক যেন আকাশ-পাতাল! কারও প্রাপ্ত নম্বর ০ থেকে বেড়ে হয়ে গিয়েছে ৫৭, কারও ১ থেকে বেড়ে হয়ে গিয়েছে ৫৪। এরকমই ৩৪৭৮ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

গাজিয়াবাদে ওএমআর মূল্যায়নকারী সংস্থা ‘নায়সা’ থেকে পাওয়া তথ্য আর কলকাতার এসএসসি অফিস থেকে পাওয়া নম্বরের তালিকার মধ্যে পার্থক্য থাকার অভিযোগ আগেই উঠে এসেছিল তদন্তে। পরে এসএসসি-ও আদালতে স্বীকার করে নেয় সে কথা। এরপর গত ১০ মার্চ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নম্বর কারচুপির তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দেয়। সেই মতো সোমবার তালিকা প্রকাশ করা হল।

প্রার্থীদের নাম ও রোল নম্বর দেওয়া আছে সেই তালিকায়। পাশে পরপর কলামে লেখা – প্রকাশ হওয়া নম্বর ও আসল নম্বর। তার পাশের কলামে দেখানো হয়েছে, ঠিক কত নম্বরের তফাৎ রয়েছে। ০, ১ বা ২ পাওয়া প্রার্থীর সংখ্যা যে নেহাত কম নয়, তা তালিকায় একেবারে স্পষ্ট। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নম্বর বদলে ৫০-এর ওপর করে দেওয়া হয়েছে।

এর আগে নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগের চাকরিতেও একই অভিযোগ উঠেছিল। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সে সব নমুনা দেখে বলেছিলেন, ‘ছিল রুমাল, হয়ে গেল বিড়াল।’ আদালতের নির্দেশে ওএমআর শিট প্রকাশ করেছিল কমিশন। সেখানে দেখা গিয়েছিল, কোনও কোনও প্রার্থী নাম আর রোল নম্বর লিখে বা সাদা খাতা জমা দিয়েও শিক্ষকের চাকরি পেয়ে গিয়েছে। এবার স্পষ্ট হল, শুধু নমব-দশম নয়, এসএসসি-র একাধিক নিয়োগের ক্ষেত্রেই হয়েছে দুর্নীতি, যাস কমিশন নিজেই স্বীকার করে নিচ্ছে। কার যাদুকাঠিতে এভাবে একলাফে প্রায় ১০ গুন বেড়ে গেল নম্বর, সেটাই সবথেকে বড় প্রশ্ন।