SSC Recruitment: আগামী ২ মাসে ১৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ! ‘ভুল তথ্য দিচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী’
SSC Recruitment: চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, যেখানে এসএসসি বলছে নিয়োগের জন্য তিন মাস সময় দরকার। সেখানে মন্ত্রী কী করে বলেন, দু মাসের মধ্যে ১৫ হাজার নিয়োগ হবে!
কলকাতা: এসএসসি নিয়ে দীর্ঘ আইনি জটিলতা। কিন্তু দু’দিন আগেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বিধানসভায় দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেছেন, আগামী ২ মাসের মধ্যেই ১৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হবে। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রীর দাবি আদৌ কি যুক্তিযুক্ত?
চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, যেখানে এসএসসি বলছে নিয়োগের জন্য তিন মাস সময় দরকার। সেখানে মন্ত্রী কী করে বলেন, দু মাসের মধ্যে ১৫ হাজার নিয়োগ হবে! আদালতের জট কাটতে ৩মাস এমনিতেই সময় লাগবে। মেধা তালিকার অভিযোগের নিষ্পত্তি করতেই সময় চেয়েছে এসএসসি। তার সঙ্গে অন্য বিষয় শেষ করতে আরও কয়েক মাস। ফলে কী করে দু মাসে নিয়োগ হবে?
চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, বিধানসভায় ভুল তথ্য দিচ্ছেন মন্ত্রী। এই তথ্য দিয়ে বিধানসভাকে বিভ্রান্ত করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি সাধারণ মানুষকেও বিভ্রান্ত করেছেন। অবিলম্বে তা প্রত্যাহার করতে হবে। বুধবার এই দাবিতে বিধানসভায় অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে যান চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু স্পিকার সময় না দেওয়ায় চলে যান তাঁরা। তাঁদের দাবি, নতুন শূন্য পদে নিয়োগ করতে হবে দ্রুত।
প্রসঙ্গত গত ১৬ নভেম্বর বিধানসভা রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের ঢিলেমি ও নানারকমের আইনি জটিলতা, টেট দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। সেই প্রশ্নের উত্তরেই ব্রাত্য বসু এদিন বলেন, যত দ্রুত সম্ভব নিয়োগ করা হবে।
ব্রাত্য বসু বলেন, ‘রাজ্য শিক্ষক নিয়োগে বদ্ধপরিকর। আমরা ইতিমধ্যেই প্রাথমিকে ৩৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করেছি। তবে শিক্ষক নিয়োগে অনেক মামলা হয়েছে। মামলা মিটিয়ে নিয়োগের চেষ্টা হচ্ছে। আগামী ২ মাসে এসএসসি-তে নিয়োগ হবে। আদালতের জট কাটিয়েই SSC-তে নিয়োগ হবে দ্রুত। আগামী ২ মাসে ১৫ হাজার এসএসসি শিক্ষক নিয়োগ হবে রাজ্যে।’ আশ্বস্ত করেছেন শিক্ষামন্ত্রী।
এসএসসির মাধ্যমে রাজ্য কবে থেকে আবার শিক্ষক নিয়োগ শুরু করবে, তা নিয়ে বিধানসভায় প্রশ্ন করেন পাথরপ্রতিমার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সমীর জানা। প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী এদিন বিস্তারিত বিষয়টি জানান।
নানান জটিলতায় জড়িয়ে এসএসসি-টেট! একাধিক ক্ষেত্রে বেনিয়ম, নিয়োগে অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠেছে। কিছু নজিরবিহীন মামলাও রয়েছে। যেখানে স্কুল সার্ভিস কমিশন নিজের ভুল স্বীকার করে নিয়েছে। এদিনের মামলায় কমিশনের কাজে বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতি। মামলা থেকে সরে দাঁড়ান কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল।এই নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। সেইসব অভিযোগের ভিত্তিতে দীর্ঘদিন ধরে আইনি জটে আটকে ছিল নিয়োগ প্রক্রিয়া। গত জুলাইয়ে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগের উপর থেকে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ তুলে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ।
চলতি মাসে একাধিক অভিযোগে বিরক্ত হয়ে আপাতত নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ভর্তসনার মুখে পড়তে হয় কমিশনকে। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে দু’মাসের মধ্যে নিয়োগ সম্ভব? তা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন চাকরিপ্রার্থীরা।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খেয়েই নড়ল টনক! এত দুর্ঘটনার পর এবার চিংড়িঘাটায় পথ নিরাপত্তায় নজর পুলিশ কর্তাদের