Road Sefty Awareness at Chingrighata: মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খেয়েই নড়ল টনক! এত দুর্ঘটনার পর এবার চিংড়িঘাটায় পথ নিরাপত্তায় নজর পুলিশ কর্তাদের

Road Sefty Awareness at Chingrighata মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পরই চিংড়িঘাটায় ছুটে যান বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার সহ একাধিক আধিকারিক।

Road Sefty Awareness at Chingrighata: মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খেয়েই নড়ল টনক! এত দুর্ঘটনার পর এবার চিংড়িঘাটায় পথ নিরাপত্তায় নজর পুলিশ কর্তাদের
চিংড়িঘাটায় পথ নিরাপত্তা বাড়াতে গুরুত্ব পুলিশের (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 18, 2021 | 12:45 PM

কলকাতা: একের পর এক দুর্ঘটনা। যেন মরণফাঁদ চিংড়িঘাটা। নিত্য রক্তাক্ত হয়েছে রাস্তা, গার্ডওয়াল। শহরের বুকে চিংড়িঘাটা যেন নিত্যযাত্রীদের আতঙ্কের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টিতে সচেতন খোদ মুখ্যমন্ত্রীও। কেন চিংড়িঘাটাতেই এত দুর্ঘটনা? চিংড়িঘাটা কার? কলকাতা পুলিশের নাকি বিধাননগর কমিশনারেটের? বুধবারের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে সেই প্রশ্ন নিয়েই পুলিশকে ধমক দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আর মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পরই চিংড়িঘাটায় ছুটে যান বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার সহ একাধিক আধিকারিক।

মুখ্যমন্ত্রীর ধমকের পর চিংড়িঘাটায় বাড়ল পুলিশি কড়াকড়ি। চিংড়িঘাটায় বাড়ানো হচ্ছে পুলিশের সংখ্যা। বাড়ছে স্পিড রাডার গানের সংখ্যা। বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চললেই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে কেস চলে যাবে মালিকের কাছে। নজরে থাকছে বাইক। রাতে প্রয়োজন মতো গার্ডরেল দেওয়া হবে। দ্রুত চালু হবে ফুট ওভারব্রিজ।রাতে চিংড়িঘাটায় থাকবেন সার্জেন্ট, চলবে ধড়পাকড়। ব্যারিকেডের সঙ্গে থাকবে রেড ব্লিংকার। গাড়ির আলো পড়লেই ব্লিংকারে জ্বলবে, চিহ্নিত করা যাবে ব্যারিকেড। রাতে রাস্তার পরিধি চিহ্নিত করতে বসবে রেইজড পেভমেন্ট মার্কার বা RPM। বাইপাসে নজরদারি চলবে মেট্রোপলিটন থেকে সল্টলেক স্টেডিয়াম পর্যন্ত।

চিংড়িঘাটায় পথ নিরাপত্তা বাড়াতে পুলিশ যা যা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চলেছে-

১. চিংড়িঘাটায় বাড়ানো হচ্ছে পুলিশের সংখ্যা। বাস থেকে নেমে কিংবা কোনওভাবে কেউ যাতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে না থাকে সেজন্য বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে।

২. স্পিড র্যাডার গানের সংখ্যা বাড়ানো হবে। বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চললেই স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে কেস চলে যাবে মালিকের কাছে।

৩. নজরে মোটরবাইক। বাইপাস হাইস্পিড করিডর হলেও সেখানে প্রয়োজন অনুযায়ী গার্ডরেল দেওয়া হবে। মূলত রাতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

৪. দ্রুত চালু করা হবে ফুট ওভারব্রিজ।

৫. রাতেও ওই এলাকায় থাকবে সার্জেন্ট। রাতেও হবে ধরপাকড়।

৬. ব্যারিকেডেক সঙ্গে থাকবে ‘রেড ব্লিঙ্কার’। গাড়ির আলো পড়লেই জ্বলবে। চিহ্নিত কবে ব্যারিকেডের অবস্থান।

৭. রাতে রাস্তার পরিধি চিহ্নিত করার জন্য আরও বেশি সংখ্যায় বসানো হবে আরপিএম (Raised Pavement Marker)।

৮. বাইপাসে নজরদারি চলবে মেট্রোপলিটন থেকে সল্টলেক স্টেডিয়াম অবধি।

প্রসঙ্গত, পঞ্চমীর রাতেই মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে চিংড়িহাটা এলাকায়। এক যুবক ও এক তরুণী সাইন্সসিটির দিক থেকে বাইকে চেপে চিংড়িঘাটার দিকে যাচ্ছিলেন। রাত আড়াইটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। মেট্রোপলিটন লেনের কাছে রাস্তার ডিভাইডারে সজোরে ধাক্কা মারে বাইকটি। সঙ্গে সঙ্গেই গাড়ি থেকে ছিটকে পড়ে লোহার গার্ডরেলে সজোরে ধাক্কা মারেন যুবক। দুর্ঘটনায় শরীর থেকে মাথা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। উল্টোদিকের লেনে গিয়ে পড়েন বাইক চালক। বাইকের পেছনের সিটে থাকা তরুণী গুরুতর জখম অবস্থায় এখনও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। যুবকের দেহ ও বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া মুণ্ড উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ।

গত কয়েকমাসে লাগাতার দুর্ঘটনা ঘটছে ওই এলাকায়। কারণ সেই বেপরোয়া গতি। কলকাতা পুলিশের আওতায় থাকা রাস্তায় একাধিক স্পিড লিমিটার রয়েছে। তাই চাইলেও কেউ গতির খেলায় মাততে পারে না। এর ফলেই নিয়মিত এই রাস্তা ধরার পরই অধিকাংশ গাড়ি বেপরোয়া হয়ে ওঠে। সেই গতিরই মাশুল গুনতে হয় চালকদের। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কেন প্রশাসনের এত দেরিতে হুঁশ ফিরল? গত কয়েক মাসে একাধিক যুবক-যুবতী প্রাণ দিয়ে মাশুল গুনেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খাওয়ার পরই কেন হুঁশ ফিরল পুলিশের? এত প্রাণ যাওয়ার পর কেন রাতারাতি বদলে যেতে শুরু করল পরিস্থিতি?

আরও পড়ুন: ‘সবই হোয়াইটওয়াশ, নাটকবাজি দেখে মানুষ ক্লান্ত’! মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠককে চরম কটাক্ষ দিলীপের