Dilip Ghosh On Mamata Banerjee: ‘সবই হোয়াইটওয়াশ, নাটকবাজি দেখে মানুষ ক্লান্ত’! মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠককে চরম কটাক্ষ দিলীপের
Dilip Ghosh On Mamata Banerjee: "যখন মানুষ ক্ষেপে যায় তখন এধরনের কথা বার্তা বলে হোয়াইট ওয়াশ করার চেষ্টা করেন প্রত্যেকবার। কখনও কেষ্টকে ধমকান, আবার বলেন ওর একটু অক্সিজেন কম। এইধরনের নাটকবাজি দেখে দেখে বাংলার মানুষ ক্লান্ত।"
কলকাতা: ‘সবই হোয়াইটওয়াশ’! মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক ও প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের ধমকানোর বিষয়টি আসলে মানুষের অন্যত্র দৃষ্টি ঘোরানোর জন্যই। এমনটাই মনে করেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বুধবারই পুরসভার কর্তা ও অনান্য প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক বৈঠক থেকে পুরসভাগুলিকে কড়া বার্তা দেন তিনি। একাধিকবার কর্তাও তাঁর বকুনি খান।
দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, এই সবই মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য। বুধবার নিউটাউনের ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণের পর দিলীপ ঘোষকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “যখন মানুষ ক্ষেপে যায় তখন এধরনের কথা বার্তা বলে হোয়াইট ওয়াশ করার চেষ্টা করেন প্রত্যেকবার। কখনও কেষ্টকে ধমকান, আবার বলেন ওর একটু অক্সিজেন কম। এইধরনের নাটকবাজি দেখে দেখে বাংলার মানুষ ক্লান্ত।”
প্রশাসনিক বৈঠকে মূলত পুরসভার কাজ নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক বৈঠক থেকে পুরসভাগুলিকে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন এলাকা ঘুরে দেখা হয় না, সেই প্রশ্ন তোলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘প্রশাসক-মণ্ডলীতে যারা আছেন তাঁরা কেন এলাকা ঘুরে দেখেন না? কেন কাজকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না?’ এ দিন তিনি পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরকে নির্দেশ দেন যাতে প্রত্যক পুরসভায় একজন করে অবজারভার নিয়োগ করা হয়। উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটি, টীটাগড় বা দমদম সব পুরসভার ক্ষেত্রেই এই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এ দিন বৈঠকে মমতা বলেন, ‘মিউনিসিপ্যালিটিগুলো নিয়ে আমার কিছু প্রবলেম হচ্ছে।’ প্রশাসকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এলাকাগুলো কেন ঘুরে দেখছেন না? এলাকার কাজকে কেন গুরুত্ব দিচ্ছেন না?’
তবে দিলীপের কথায় এই সবই লোক দেখানো, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। মানুষকে বিভ্রান্ত করার প্রয়াস। মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করে তাঁকে বিঁধেই দিলীপ বলেন, “লোককে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে নাম লেখাচ্ছেন একটা পয়সা দেন না। ইলেকশনের আগে বড় বড় প্রতিশ্রুতি দেন কিছু করেন না। মানুষ বিকল্প খুঁজেছে বিজেপি এসেছে। আমরা যেমন এর প্রতিবাদও করব আর মোদীজির কাজ কীভাবে হতে পারে সেটাও দেখাব।”
উল্লেখ্য সামনেই পুরভোট। দু’পক্ষই নতুন করে সমীকরণ কষতে শুরু করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, জয়ের আশা সে অর্থে করছে না গেরুয়া শিবির। কিন্তু কোনওভাবেই মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ার জায়গা থেকে তারা যাতে সরে না যায়, সেই চেষ্টা চূড়ান্ত। সংগঠনকে শক্তিশালী করে রণকৌশল সাজাতে ব্যস্ত গেরুয়া শিবির।
আরও পড়ুন: Mahua Moitra: আদালতের পূর্ব নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ, ইডি কর্তার মেয়াদ বৃদ্ধিতে মামলা মহুয়ার