SSC Recruitment Case: ১৮৩ জনকে বেআইনিভাবে চাকরির সুপারিশ, আদালতে জানাল SSC

SSC Recruitment Case: ১৮৩ জনের মধ্যে কতজন চাকরি পেয়েছিলেন, তা জানানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতদিন কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

SSC Recruitment Case: ১৮৩ জনকে বেআইনিভাবে চাকরির সুপারিশ, আদালতে জানাল SSC
কলকাতা হাইকোর্টে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 30, 2022 | 4:13 PM

কলকাতা: ভুয়ো নিয়োগ বাতিল করতে হবে। আগেই এমন নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সিবিআই (CBI) ও স্কুল সার্ভিস কমিশনকে (SSC) যৌথভাবে সেই সব বেআইনি নিয়োগ খুঁজে বের করার কথা বলা হয়েছিল। এবার শুরু হল সেই সব নিয়োগ বাতিল করার প্রক্রিয়া। বুধবার এসএসসি-র নবম-দশমের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় কমিশন জানিয়েছে, ১৮৩ জনের নাম তাঁরা খুঁজে পেয়েছেন, যাঁদের বেআইনিভাবে সুপারিশ করা হয়েছে। সব জেনেও কেন এসএসসি তাঁদের বরখাস্ত করল না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। এই ১৮৩ জনের মধ্যে কতজন চাকরি পেয়েছিলেন, তা জানানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বেআইনি নিয়োগের কথা যখন এসএসসি নিজেও স্বীকার করছে, তা সত্ত্বেও কেন কমিশন সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়। তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘নিয়োগে সংগঠিত অপরাধকে থামানোর পরিবর্তে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে আদালতের নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ জোগাড় করতে।’ ‘এটা বিস্ময়কর’, বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। বিচারপতি আরও জানান, এসএসসি আদালতে আসুক, তদন্তে সাহায্য করুক।

সুপারিশ বাতিলের কোনও পদক্ষেপ কেন এতদিন করা হয়নি, সেই প্রশ্নও তুলেছেন বিচারপতি। তিনি আরও প্রশ্ন করেন, কী ধরনের বেআইনি কাজ সুপারিশে খুঁজে পেয়েছে এসএসসি? এসএসসি-র আইনজীবী জানান, মূলত র‍্যাঙ্ক জাম্প করে সুপারিশের তথ্য খুঁজে পেয়েছে কমিশন। তালিকায় নীচের দিকে থাকা চাকরি প্রার্থীদের আগে নিয়োগ করার অভিযোগ আগেই উঠেছে। প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ের নিয়োগের ক্ষেত্রেও তেমনই অভিযোগ ওঠে। আর এবার সেই বেআইনি নিয়োগের তথ্য আদালতে স্বীকার করল স্কুল সার্ভিস কমিশন।

বিচারপতি আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন ‘ব্যতিক্রমী নিয়োগ’ খুঁজে বের করে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে। এসএসসি ও মামলাকারীদের আইনজীবীদের একসঙ্গে বসে সেই তালিকা বের করতে বলা হয়েছিল। সেই মতো দফায় দফায় বৈঠকও হয়েছে। এবার তথ্য সামনে আনল এসএসসি।

২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই ১৮৩ জনের নাম এসএসসি-র ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। পরে সিবিআই-এর বক্তব্য শোনার পর সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। আপাতত সেই তালিকা প্রকাশ করতে হবে না।