SSC Recruitment Scam: ‘ডেটা গায়েব করে দেওয়া হয়েছে’, আদালতে এসপি সিনহা-অশোক সাহার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ সিবিআই-এর
SSC Recruitment Scam: বুধবারই গ্রেফতার করা হয়েছে এসপি সিনহা ও অশোক সাহাকে। রাতভর তাঁদের জেরা করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
কলকাতা : ভুয়ো প্যানেল বানানো, প্যানেলে নাম বদলে দেওয়া, এমন সব অভিযোগ সামনে এসেছিল আগেই। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আদালতে বাগ কমিটির তরফে যে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছিল, সেখানে উপদেষ্টা কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে এমনই সব অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। বুধবার এসএসসি-র দুই প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা ও অশোক সাহা গ্রেফতার হওয়ার পর আদালতে আরও একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আনল সিবিআই। বৃহস্পতিবার সিবিআই বিশেষ আদালতে শুনানি চলাকালীন এই সব অভিযোগ সামনে এনেছে সিবিআই। এ দিন শান্তিপ্রসাদ সিনহা ও অশোক সাহাকে সাতদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে।
আলিপুর জজ কোর্টে সিবিআই-এর বিশেষ আদালতের বিচারক শুভার্থী সরকারের এজলাসে শুনানি ছিল। ১৭ অগস্ট রয়েছে পরবর্তী শুনানি। বুধবার দুই প্রাক্তন এসএসসি কর্তাকে গ্রেফতার করার পর নিজাম প্যালেসে রাতভর জেরা করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে জেরায় তাঁরা নিয়োগ সুপারিশ সংক্রান্ত প্রশ্নের মুখে দায় এড়িয়ে যান বলেই সূত্রের খবর। এ দিন আদালতে তাই তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছে সিবিআই।
সিবিআইয়ের আইনজীবী সওয়াল-জবাব চলাকালীন দাবি করেছেন, পদের অপব্যবহার করে অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হয়েছে, ভুয়োগ নিয়োগ পত্র তৈরি করা হয়েছে। শূন্য়পদ তৈরি করে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে দুই প্রাক্তন আধিকারিকের বিরুদ্ধে। সিবিআই-এর দাবি, দুই অভিযুক্ত তদন্তে অসহযোগিতা করছেন। সরাসরি তাঁদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে সিবিআই বলেছে, আরও অনেকে জড়িত।
সিবিআই আরও উল্লেখ করেছে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, লিখিত পরীক্ষার পরে নিয়োগ হয় না। অথচ এ ক্ষেত্রে তেমনটাই হয়েছে। কী ভাবে দুর্নীতি হয়েছে, তা জানার জন্য ব্যাক আপ ডেটা প্রয়োজন সিবিআই-এর। সেই ডেটা গায়েব করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবী। তাাঁর দাবি, ডেটা পেলে কার সুপারিশে চাকরি সেটা বোঝা সম্ভব হবে। বারবার জিজ্ঞেস করার পরও, এসপি সিনহা সেই ডেটা সম্পর্কে কোনও তথ্য জানাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, নিয়ম লঙ্ঘনের পরে ভুয়ো আরটিআইয়ের সাহায্যে নিয়োগ কেলেঙ্কারি হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে সিবিআই।
শান্তি প্রসাদের আইনজীবী এ দিন আদালতে দাবি করেন, তাঁর মক্কেল অর্থাৎ শান্তি প্রসাদ সিনহা কেবল একজন কর্মচারী ছিলেন। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে বলেই দাবি করেন আইনজীবী। একই সঙ্গে জামিনের আর্জি জানিয়ে আইনজীবী উল্লেখ করেছেন তাঁর মক্কেলের বয়সজনিত অসুখ রয়েছে। যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়া হোক। যখনই সিবিআই ডাকবে হাজির থাকবেন তাঁর মক্কেল। সওয়াল-জবাব শেষে সাত দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি গ্রেফতার করেছে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে। এরপরই ওই একই মামলায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।