Na Bollei Noy: দক্ষ সংগঠন অনুব্রত জেলে গেলে তৃণমূলের রাজনৈতিক ক্ষতি কতটা? যে কথা ‘না বললেই নয়’
বীরভূমের বীরপুরুষের বর্ম খসে গেছে। আইনের হাত লম্বা হতে হতে, অনুব্রতর গর্দান ছুঁয়েছে।
ঠাকুরঘরে কে? অনুব্রত মণ্ডল। বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়িতে পৌঁছেই জানতে পেরেছিল সিবিআই। তবুও, কিছুতেই নাগাল মিলছিল না। অনুব্রত মণ্ডল, যে বাড়ির দোতলার ঠাকুরঘরে ছিলেন। সেই বাড়ির একতলায় ঠায় অপেক্ষা করছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা ও সিআরপিএফ জওয়ানরা। কেষ্ট মণ্ডল কি বুঝেছিলেন সিবিআই যখন দুয়ারে পৌঁছে গিয়েছে, তখন অক্সিজেন সাপ্লাই দেওয়ার আর কেউ নেই? ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠাকুরঘরে কি শুধু ইস্টনাম জপলেন অনুব্রত? না কি বিপদতারণ ভেবে কোনও ফোন নম্বর ডায়াল করেছিলেন? যেমন করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়? জানা যায়নি।
কেষ্ট মণ্ডল, সিনেমা ভালবাসেন। বিশেষ করে অ্যাকশন ফিল্ম। ধুমধারাক্কা, মারপিট তাঁর দারুণ পছন্দের। অনুব্রতর গ্রেফতারিও কম ফিল্মি হল না। সিবিআই ডাকছিল আর অনুব্রত পাশ কাটাচ্ছিলেন। শরীর জুড়ে রোগের বাসা, সেই অজুহাতে কেষ্ট মণ্ডল পালিয়ে বাঁচবেন ভেবেছিলেন হয়তো। কিন্তু হল না। সিবিআই বাড়িতে ঢুকে, পাকড়াও করল। রাখির দিনই হাতে হাতকড়া বলতে পারেন আর কি! কী কাণ্ড, নিচুপট্টির বাড়ির বাইরে তখন দর্শক। খেলার রিলের মতো, সাংবাদিকরা জানাচ্ছেন প্রতি মুহূর্তের আপডেট। অনুব্রত বুঝলেন, মিথ চুরমার। বীরভূমের বীরপুরুষের বর্ম খসে গেছে। আইনের হাত লম্বা হতে হতে, অনুব্রতর গর্দান ছুঁয়েছে। গরু পাচারের মামলা, কয়লা পাচারের মামলায় তাঁর নাম জড়িয়েছে। ঘনিষ্ঠরা অভিযুক্ত। অতএব, অনুব্রত আপাতত সিবিআই-এর হাতেই।
কিন্তু প্রথমে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবার অনুব্রত। ৩ সপ্তাহের ব্যবধানে তৃণমূলের দুটো বড় উইকেট পড়ে গেল! এবার কী হবে? ভোট বিশেষজ্ঞ, চাবুক সংগঠক অনুব্রত মণ্ডল যদি আড়ালে চলে যান, তাহলে তৃণমূলের রাজনৈতিক ক্ষতি কতটা? সাম্প্রতিক সাংগঠনিক রদবদলেও অনুব্রত মণ্ডল জেলা সভাপতির কুর্সি যায়নি, সেই কেষ্ট-বিনে তৃণমূলের কী হাল হবে পঞ্চায়েতে? বিরোধী শিবিরে উচ্ছ্বাস শুরু হয়ে গেছে। যেন ভোটের আগেই অর্ধেক ম্যাচ পকেটে। কেন এই আত্মবিশ্বাস? তাহলে কি এই বাংলার কোনও এক গোকূলে বাড়ছেন ‘একনাথ শিন্ডে’? যিনি শাসকের ঘরের শত্রু বিভীষণ?
এই সব কথা হবে, রাত ৮.৫৭। টিভি নাইন বাংলায়, না বললেই নয়।