উচ্চ প্রাথমিকে ‘ভুল’ করে বেআইনি নিয়োগ! রাজ্যকে হলফনামায় বিস্তারিত জানাতে বলল আদালত
SSC Upper Primary: মঙ্গলবার মামলাটি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের বেঞ্চে উঠলে তিনি নির্দেশ দেন, সব জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সাংসদ থেকে এমনভাবে কতজনকে নিয়োগ করা হয়েছে, সেই রিপোর্ট নিয়ে আগামী ৪ অক্টোবর হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে হাইকোর্টকে
কলকাতা: উচ্চ প্রাথমিকের (SSC Upper Primary) প্রার্থীদের প্রাথমিকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগে ফের হাইকোর্টে (Calcutta High Court) প্রশ্নের মুখে পড়তে হল রাজ্য সরকারের প্রাথমিক শিক্ষা সংসদকে। বহু জেলায় বেআইনিভাবে নিয়োগ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও আদালতে প্রাইমারি শিক্ষা সংসদের বক্তব্য, এখনও পর্যন্ত মোট পাঁচজনের ক্ষেত্রে এমন ‘ভুল’ হয়েছে। মঙ্গলবার মামলাটি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের বেঞ্চে উঠলে তিনি নির্দেশ দেন, সব জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সাংসদ থেকে এমনভাবে কতজনকে নিয়োগ করা হয়েছে, সেই রিপোর্ট নিয়ে আগামী ৪ অক্টোবর হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে হাইকোর্টকে। সূত্রের খবর, আগামী ৮ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
এর আগেই এই মামলার ক্ষেত্রে হাইকোর্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, যদি এমনভাবে নিয়োগ হয়ে থাকে তাহলে চাকরি যাবে সেই শিক্ষকদের চাকরি চলে যাবে। এই হুঁশিয়ারির পরেই শিক্ষা সংসদ স্বতঃপ্রণোদিতভাবে বিতর্কিত পদ্ধতিতে নিয়োগ হওয়া শিক্ষকদের বেতন বন্ধ করে দেয়। এই বেতন বন্ধের প্রতিবাদ জানিয়েই আদালতের দ্বারস্থ হন ওই পাঁচ শিক্ষক। সংসদের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন আবেদনকারীরা। যার বিরুদ্ধে এ দিন ওই পাঁচজনের তরফে অভিযোগ জানানো হয় আদালতে। আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, পূর্ববর্তী নির্দেশে কোথাও বেতন বন্ধ করার কথা বলা হয়নি।
অন্যদিকে, উচ্চ প্রাথমিক মামলায় আদালতের নির্দেশ মেনে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শুনানি প্রক্রিয়া চালাবে সংসদ। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে হওয়া পরীক্ষায় উচ্চ প্রাথমিকে মোট শূন্যপদের সংখ্যা ছিল ১৪ হাজার ৩৯৯। এই সংখ্যক ফাঁকা আসনে ইন্টারভিউর জন্য ডাকা হয়েছিল মোট ১৫ হাজার ৪০৬ জনকে। গত ৪ অগস্ট সেই ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শেষ হয়। যদিও এসএসসি সূত্রে খবর, তথ্যগত অসঙ্গতির কারণে ৬০০-র বেশি প্রার্থীর আবেদন বাতিল করা হয়। মোট ১৫ হাজার ৪০৬ জনকে ইন্টারভিউ দিতে ডাকা হয়েছিল। যার মধ্যে ১২০০-র বেশি প্রার্থী অনুপস্থিত ছিলেন বলে খবর। অন্যদিকে, আদালতের নির্দেশ মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত ২৫ হাজারের বেশি অভিযোগ জমা পড়েছিল কমিশনের দফতরে।
যদি এ ক্ষেত্রে মনে করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন, ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শেষ হলেও নিয়োগপত্র দেওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে কলকাতা হাইকোর্ট। নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ নিয়ে যে মামলা ডিভিশন বেঞ্চে হয়েছিল তারই প্রেক্ষিতে এই রায় দেওয়া রয়েছে। ফলে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শেষ হলেও নিয়োগপত্র কবে দেওয়া হবে, তা নিয়ে এখনও কোনও নিশ্চয়তা নেই।
আরও পড়ুন: বাংলার ৬১ বিজেপি বিধায়কের নিরাপত্তা ফিরিয়ে নিল কেন্দ্র, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের চিঠি এল নবান্নে
আরও পড়ুন: স্কুল কত, শিক্ষক কত, পড়ুয়া কত, কিছুই জানে না রাজ্য! ‘সরকার চলছে?’ বিস্মিত আদালত