ক্ষততে ধরেছে পোকা, এসএসকেএমের বাইরে পাঁচ দিন ধরে পড়ে রোগী, TV9 বাংলার খবরের জেরে হল ভর্তির ব্যবস্থা
SSKM: শহরের অন্যতম সেরা হাসপাতাল হিসেবে পরিচিত এসএসকেএম। আর সেখানেই উঠে এল অমানবিক ছবি।
কলকাতা: ফের অমানবিকতার নজির কলকাতার সরকারি হাসপাতালে। এসএসকেএম, শহরের যে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রোগীদের নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানেই দেখা গেল চূড়ান্ত অব্যবস্থার ছবি। হাসপাতালের বাইরে ৫ দিন ধরে পড়ে রইলেন রোগী। বেড পাওয়া তো দূরের কথা, প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু মেলেনি বলে অভিযোগ। হাতের ক্ষতস্থানে পোকা ধরতে শুরু করেছে। মুর্শিদাবাদ থেকে এসে ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে গত কয়েকদিন এ ভাবেই পড়তে থাকতে হল শত্রুঘ্ন রায় নামে ওই রোগীকে। অবশেষে TV9 বাংলার খবরের জেরে তাঁকে হাসপাতালের এমার্জেন্সি বিভাগে ভর্তি করা হল শনিবার।
জানা গিয়েছে, গত সোমবার মুর্শিদাবাদ থেকে নিয়ে আসা হয় শত্রুঘ্ন রায় নামে ওই রোগীকে। তাঁর ডান হাতের কবজিতে চোট লেগেছিল, পাশাপাশি বাঁ পায়েও ছিল ক্ষত। হাসপাতালের তরফ টেকে বেড নেই বলে জানিয়ে দেওয়া হয়, এমনটাই অভিযোগ পরিবারের। রোগীর সঙ্গে ছিলেন তাঁর বোন। সোমবার থেকে টানা পাঁচ দিন ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে বাইরেই পড়ে থাকতে হয় তাঁদের। বেড না পাওয়া গেলেও, অন্তত চিকিৎসা মিলবে বলে আশা করেছিল ওই যুবকের পরিবার। কিন্তু, সেটুকুও মেলেনি। দিনের পর দিনপড়ে থাকতে থাকতে যুবকের ক্ষত স্থানে পোকা ধরতে শুরু করে বলে জানিয়েছে পরিবার। রোগীর বোন জানান, মুর্শিদাবাদে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভালো নয় বলেই এসএসকেএম নিয়ে আসতে হয়েছে, আর সেখানে এসে এ ভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন তাঁরা।
গত কয়েকদিন চিকিৎসক, নার্স, হাসপাতালের কর্মী, কেউই সাহায্যের হাত বাড়াননি। আজ শনিবার TV9 বাংলায় এই অভিযোগ সামনে আসে। সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সামনে আসার পর অবশেষে নড়েচড়ে বসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আজ সোমবার তাঁকে হাসপাতালের এমার্জেন্সি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। এসএসকেএমের বাইরে এমন অমানবিক ছবি ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দিকে। জানা যাচ্ছে, কোভিড বেডের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বাকি রোগীদের জায়গার অভাব হচ্ছে বিভিন্ন হাসপাতালে। তার জেরেই এমন ঘটনা। এই প্রসঙ্গে চিকিৎসক সংগঠনের নেতা ড. মানস গুমটা বলেন, ‘আমার ঠিক জানা নেই কী হয়েছে। বেডের অভাব হতেই পারে। তবে সাধারণত বেড না থাকলে রোগীদের অন্য হাসপাতালে রেফার করে দেওয়াই নিয়ম। এ ক্ষেত্রে যা ঘটেছে, তা অমানবিক।’ আরও পড়ুন: ডাক বিভাগে চাকরির আবেদন, খোঁজ করতেই মিলল একগুচ্ছ ভুয়ো সার্টিফিকেট