AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘সংসদই হিসেবে ভুল করেছে’, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরই জমা পড়ছে একগুচ্ছ অভিযোগ

সাতদিনের মধ্যে অভিযোগ জানাতে হবে, এমনটাই জানানো হয়েছিল বিজ্ঞপ্তিতে। সেই মতো আজই অভিযোগ জানাতে উপস্থিত হয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা।

'সংসদই হিসেবে ভুল করেছে', বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরই জমা পড়ছে একগুচ্ছ অভিযোগ
বিদ্যাসাগর ভবনে বাড়ছে ভিড় (ছবি- রজত শিকদার)
| Edited By: | Updated on: Jul 25, 2021 | 2:58 PM
Share

কলকাতা: কেউ বলছেন একাদশে ও মাধ্যমিকে ভালো নম্বর থাকা সত্ত্বেও কেন ফেল, আর কোনও কোনও শিক্ষক অভিযোগ করছেন খোদ সংসদের বিরুদ্ধে। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংদদের তরফে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পর আজ প্রথম দিনেই সকাল থেকে ভিড় বিদ্যাসাগর ভবনের সামনে। প্রত্যেকেই অভিযোগপত্র নিয়ে হাজির হয়েছেন। ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছেন মহুয়া দাস।

উচ্চ মাধ্যমিকের ফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন স্কুলে ক্ষোভের ছবি দেখা গিয়েছে। পুরনো নম্বরের ভিত্তিতে যেহেতু এ বার ফল প্রকাশ করা হয়েছে,তাই কত নম্বর পাওয়া যেতে পারে, সে ব্যাপারে ওয়াকিবহাল ছিল ছাত্রছাত্রীরা। অনেকেরই অভিযোগ, ফল হাতে পেয়ে সেই অঙ্ক মেলেনি। কোন হিসেবে তারা অকৃতকার্য, সেই প্রশ্নই তুলছে ছাত্রছাত্রীরা। এ ছাড়া ফল প্রকাশের দিন সাংবাদিক বৈঠকে মহুয়া দাস নিজেই জানিয়েছিলেন যে অনেক স্কুলের গণনার ক্ষেত্রে ভুল হয়েছে।

শনিবার বিকেলেই উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয় যে, ফলাফল প্রকাশের ক্ষেত্রে যদি কোনও ত্রুটি থেকে থাকে তবে তা খতিয়ে দেখা হবে। মূলত যে সমস্ত স্কুলে সমস্যা হচ্ছে, সেগুলির প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ  জানাতে বলা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীও আশ্বাস দিয়েছেন, সমস্ত অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল যে আগামী সাত দিনের মধ্যে অভিযোগ জমা দিতে হবে। রবিবার ও ছুটির দিনেও অভিযোগ জানানো যাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল বিজ্ঞপ্তিতে।

সেই মতো এ দিন সকালে ছাত্রছাত্রীরা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে সংসদে উপস্থিত হয়েছেন। ডায়মন্ড হারবার গার্লস স্কুলে এক ছাত্রী জানায়, সে মাধ্যমিকে ৬৯ শতাংশ নম্বর পেয়েছিল। একাদশেও ভালো নম্বর ছিল তার। অথচ উচ্চ মাধ্যমিকে অকৃতকার্য কী ভাবে? ওই ছাত্রী বলে, ‘আমি কত নম্বর পেতে পারি, তা হিসেব করেই কলেজগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করতেও শুরু করেছিলাম।’ অন্যদিকে, গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন এক শিক্ষক। বাঁকুড়া চুয়াগাড়া সম্মিলনি বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষকের দাবি, স্কুল থেকে নম্বর ঠিকই এসেছে, সংসদই গুনতে ভুল করেছে। গতকালই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন যে বিক্ষোভ মিটে যাবে। তিনি বলেন, ‘বিক্ষোভ যদি ন্যায়সঙ্গত হয়, তবে সেই স্কুলকে সংসদে অভিযোগ পাঠাতে বলা হয়েছে। ক্ষোভ মিটে যাবে।’ আরও পড়ুন: ভোজনরসিক বাঙালির জন্য সুখবর! কলকাতার বাজারে আসছে ‘কাঁচা ইলিশ’