JU Election : ‘পড়ুয়াদের গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্ণ’, সংসদ নির্বাচন না হওয়া নিয়ে বিবৃতি যাদবপুরের

JU Election : নির্বাচন না হওয়ায় পড়ুয়াদের গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে, সরকারের ভূমিকায় ‘ক্ষুব্ধ’ যাদবপুরের কর্তারা।

JU Election : 'পড়ুয়াদের গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্ণ', সংসদ নির্বাচন না হওয়া নিয়ে বিবৃতি যাদবপুরের
বৈঠক চলাকালীন বিক্ষোভ অরবিন্দ ভবনে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 28, 2022 | 7:24 PM

কলকাতা: “চিঠি লিখে দায় ঝেড়ে ফেললে কোনও সমাধান হবে। ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত জারি থাকবে আন্দোলন।” যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) কর্মসমিতির বৈঠক শেষ হতেই দাবি আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের। এদিকে সরকারের সাড়া না মেলায় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন করার পর নিজেদেরই ভোটের আয়োজন করতে দেখা গিয়েছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের। এদিকে বিগত কয়েকমাসে বারবার ছাত্রভোটের দাবি উঠেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও। শেষ নির্বাচন হয়েঠছিল ২০২০ সালে। তারপর কেটে গিয়েছে ৩ বছরের বেশি সময়। মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা, বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়রিং শাখার নির্বাচিত ছাত্র সংসদগুলির। আর সে কারণেই বারবার উঠেছে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি। বুধবার ছিল যাদবপুরের কর্মসমিতির বৈঠক। সেখানেও ভোট নিয়ে এদিন আলোচনা হয় বলে জানা যাচ্ছে। ছাত্রদের নির্বাচনের দাবি সরকারের কাছে চিঠি দিয়ে জানানো হবে বলে এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চিঠি যাবে বিকাশভবনে। 

এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের এফএফআই নেতা তর্পন সরকার বলেন, “কর্মসমিতি যদি দায়সারা ভাবে একটা চিঠি লিখে দায় ঝেড়ে ফেলে তাহলে এর তো কোনও সমাধান হবে না। আমরা কর্মসমিতির উপর ক্রমাগত চাপ রাখব। যাতে সরকার বাধ্য হয় দ্রুত ছাত্রভোটের প্রক্রিয়া শুরু করতে। সত্যি বলতে এর থেকে বেশি কিছু করার নেই। আমাদের আন্দোলন জারি থাকবে।” সূত্রের খবর, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য এর আগে চারবার চিঠি গিয়েছে সরকারের কাছে। কিন্তু, তারপরও ভোট নিয়ে কোনও বিজ্ঞাপ্তি জারি না হওয়ায় ক্ষোভ বেড়েছে পড়ুয়াদের মধ্যে। 

অন্যদিকে কর্মসমিতির বৈঠক শেষে এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে জারি হয়েছে বিবৃতি। যেখানে ছাত্রদের দাবিতে সম্মতি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তারা। ছাত্র সংসদ নির্বাচন, ছাত্রদের গণতান্ত্রিক অধিকার বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকী ভোট না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে।  

এদিন বৈঠক শুরু হতেই যাদবপুরের মূল প্রশাসনিক ভবন অরবিন্দভবনের বাইরে অবস্থান বিক্ষোভে বসে বিভিন্ন শাখার পড়ুয়ারা। চলতে থাকে স্লোগান। ফেটসুর ছাত্র নেতা অরিত্র মজুমদার বলেন, “আচার্য, উপাচার্য, সহ-উপাচার্যের কাছে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে দরবার করার পরও এখনও পর্যন্ত কোনও সদর্থক উত্তর পাওয়া যায়নি। সরকারের কাছে একাধিকবার জানানোর পরও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এটা দুর্ভাগ্যজনক। আমরা লাগাতার আন্দোলন করার পর বিশ্ববিদ্যালয়ও তাদের বিবৃতিতে সরকারের এই ভূমিকা দুর্ভাগ্যজনক বলে উল্লেখ করেছে। দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচন হোক, এটা ইসিও আজ চাইছে। এর ভিত্তিতে দাঁড়িয়ে উপাচার্য সরকারকে একটি চিঠি দেবেন তবে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ যতক্ষণ না ঘোষণা হচ্ছে আমরা আমাদের আন্দোলন জারি রাখব।”