Sujay Krishna Bhadra: ফোনের সেই কন্ঠস্বর তাহলে ‘কাকু’রই! হাইকোর্টে বিস্ফোরক তথ্য দিল ED
Sujay Krishna Bhadra: নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য মুছে ফেল, ফোনে কাউকে বলা হচ্ছে এ কথা। যাঁর গলা শোনা যাচ্ছে, তিনি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র কি না, সেটা জানতেই ফরেনসিক পরীক্ষা করিয়েছিল ইডি।

কলকাতা: নিয়োগ মামলা শুরু হওয়ার পর ‘কালীঘাটের কাকু’ হিসেবেই সামনে আসে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নাম। বেহালার বাসিন্দা সেই সুজয়কৃষ্ণের কন্ঠস্বর নিয়ে চলেছে অনেক টালবাহানা। কন্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকদের। অবশেষে সামনে এসেছে সেই নমুনার ফরেনসিক রিপোর্ট। তারপরই নিয়োগ দুর্নীতির কোনও বড় সূত্র তদন্তকারীরা খুঁজে পেয়েছেন বলে সূত্রের খবর। বুধবার সেই রিপোর্টের বিষয়েই এজলাসে কথা বললেন ইডি-র আইনজীবী।
লিপ্স অ্যান্ড বাউন্স সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে ইডি ওই ফরেনসিক রিপোর্টের বিষয়ে জানান এদিন। বিচারপতি অমৃতা সিনহা এদিন জানতে চেয়েছিলেন ফরেন্সিক রিপোর্ট এসেছে কি না, এলে সেটা নিয়ে কী করা হয়েছে। ইডি-র আইনজীবী বলেন, ‘সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠস্বরের নমুনা আমাদের স্বপক্ষেই এসেছে।’ রিপোর্ট দেখে বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানতে চান, এই রিপোর্ট পেয়ে কী করেছে ইডি।
উল্লেখ্য, সুজয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে একটি অডিয়ো ক্লিপ পেয়েছিল ইডি। সেখানে শোনা যায়, রাহুল বেরা নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে টেলিফোনিক কথোপকথনে বলা হচ্ছে, মোবাইলে থাকা নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য মুছে ফেল। সেই কন্ঠস্বর সুজয়কৃষ্ণের বলে দাবি করে ইডি। এরপর থেকেই কন্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করার জন্য তৎপর হয় ইডি।
গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই ‘কাকু’ অসুস্থ থাকায় বারবার বাধা পেতে হয়েছিল ইডি-কে। এসএসকেএম-এ অফিসাররা গিয়েও ফিরে এসেছিলেন। পরে আদালতের নির্দেশে তৎপরতার সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণকে নিয়ে গিয়ে তাঁর কন্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। কয়েকদিন আগেই সেই রিপোর্ট এসেছে ইডি-র হাতে।





