Deocha Pachami: আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে ফের দেউচায় বিজেপি, থাকবেন শুভেন্দু-সুকান্ত জুটি

Deocha Pachami: ১২ মে ফের দেউচা পাঁচামি যাচ্ছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে থাকছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। দেউচা পাঁচামির সবক'টি গ্রামের পরিবারগুলিকে নিয়ে মিছিল করার পরিকল্পনা রয়েছে বিজেপির।

Deocha Pachami: আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে ফের দেউচায় বিজেপি, থাকবেন শুভেন্দু-সুকান্ত জুটি
দেউচায় যাচ্ছেন সুকান্ত-শুভেন্দুরা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 10, 2022 | 7:16 PM

কলকাতা : রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে ১২ মে ফের দেউচা পাঁচামি যাচ্ছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে থাকছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। দেউচা পাঁচামির সবক’টি গ্রামের পরিবারগুলিকে নিয়ে মিছিল করার পরিকল্পনা রয়েছে বিজেপির। কয়েকদিন আগে অমিত শাহ রাজ্য সফরে এসে শুভেন্দু ও সুকান্ত মজুমদারকে বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার পরামর্শ দিয়ে গিয়েছেন। সেই মতো রাজ্যের শাসক শিবিরের উপর চাপ বাড়াতে তৎপর শুভেন্দু-সুকান্ত জুটি। এর আগে রাজ্য সরকার যখন কলকাতায় বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন করছিল, তখন দেউচায় গিয়ে আন্দোলনকে সংঘবদ্ধ করতে উদ্যোগী হয়েছিল বিজেপি। দল-বল নিয়ে দেউচায় গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বৃহস্পতিবার আবার বিজেপির গন্তব্য দেউচা পাঁচামি।

উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারী আগেই রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেছিলেন, দেউচা পাঁচামি ক্লোজ়ড চ্যাপ্টার। কিছুটা হুঁশিয়ারির সুরেই বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন দেউচা পাঁচামির কথা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দেন। শুভেন্দু তখনই জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি আবার দেউচায় আসবেন। উচ্ছেদ বিরোধী পদযাত্রার কথাও বলেছিলেন বিরোধী দলনেতা। সেই মতো ১২ মে দেউচায় আন্দোলনের শক্তি বাড়াতে যাচ্ছেন শুভেন্দু-সুকান্তরা। বিজেপির তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে, দেউচার আদিবাসীদের বেআইনিভাবে উচ্ছেদের নোটিস ধরানো হচ্ছে।

এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এখন পাখির চোখ করেছেন দেউচা পাঁচামির খোলামুখ কয়লা খনিকে। বিশেষ করে রাজ্যের শিল্পবিমুখ ভাবমূর্তি পাল্টাতে এই প্রকল্প যে যথেষ্ট কার্যকর হবে, তা বিলক্ষণ বোঝেন মমতা। আর তাই, বিশাল পুনর্বাসন প্যাকেজের ঘোষণা করেছেন তিনি। সঙ্গে এটাও স্পষ্ট করেছেন যে কারও থেকে জোর করে জমি নেওয়া হবে না। প্রথমে রাজ্য সরকারের যে জমি রয়েছে, তা ব্যবহার করা হবে। তারপর যাঁরা জমি দিতে ইচ্ছুক কেবল, তাঁদেরই জমি নেওয়া হবে।

কিন্তু তারপরও চাপ কমছে না রাজ্য সরকারের। কয়েকদিন আগেই নবান্নে ডেকে আনা হয়েছিল দেউচার আন্দোলনরত গ্রামবাসীদের। রাজ্য সরকার দেউচা নিয়ে কী ভাবছে, কী কী প্যাকেজ দিচ্ছে, সেই সব বোঝানোর চেষ্টা করা হয় গ্রামবাসীদের। গ্রামবাসীরা কী চাইছেন, তাও জানানো হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। সেই সময় নবান্ন সূত্রে ওই বৈঠক ফলপ্রসু বলে দাবি করা হয়েছিল বটে, তবে আন্দোলনকারীদের একাংশ এই প্রকল্প চাইছে না, এমন কথাও শোনা যাচ্ছিল। এরই মধ্যে ফের একবার দেউচায় যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদাররা।