Suvendu vs Sukanta: শুভেন্দুর মতের সঙ্গে কেন মেলে না? খোলাখুলি ব্যাখ্যা করলেন সুকান্ত

Sukanta Majumdar on Suvendu: সুকান্তর ব্যাখ্যা, বিজেপি হল গঙ্গা নদীর মতো। এই দলে যোগ দিলে নেতার ব্যক্তিসত্ত্বা আর থাকে না, তিনি দলের একজন হয়ে যান। শুভেন্দুর ক্ষেত্রেও সেই একই তত্ত্বের কথা বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

Suvendu vs Sukanta: শুভেন্দুর মতের সঙ্গে কেন মেলে না? খোলাখুলি ব্যাখ্যা করলেন সুকান্ত
এক অনুষ্ঠানে শুভেন্দু ও সুকান্ত (ফাইল ছবি)Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 02, 2023 | 3:28 PM

কলকাতা: বাংলায় বিজেপি যখন প্রধান বিরোধী দল হিসেবে উঠে আসতে শুরু করেছে, সমালোচনাও শুরু হয়েছে তারই সমান্তরালে। জেলাস্তরের নেতাদের কোন্দল হলেও নয় কথা ছিল! কিন্তু রাজনৈতিক মহলের চর্চায় উঠে আসে বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও বিধানসভার বিরোধী দলনেতার অন্তর্দ্বন্দ্ব। অনেকেই বলেন, সুকান্ত মজুমদার আর শুভেন্দু অধিকারীকে নাকি কখনই একই অনুষ্ঠানে দেখা যায় না, মতও মেলে না বলেও দাবি করেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। সত্যিই কি তাই? TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে সেই শুভেন্দুর সঙ্গে সমীকরণের ব্যাখ্যা দিলেন সুকান্ত।

একসময়ে তৃণমূলে থাকা শুভেন্দু অধিকারী আজ রাজ্য বিজেপির অন্যতম বড় মুখ। তবে এই তৃণমূল থেকে আসার বিষয়টা শুভেন্দুকে কোনও ভাবেই বিজেপি থেকে আলাদা করে দেয় না বলে দাবি রাজ্য সভাপতির। তাঁর কথায়, “অন্য দল থেকে আসাটা কোনও ব্যাপারই নয়। উনি আসার পর দল অনেক শক্তিশালী হয়েছে।”

তবে, ভাবনা যে আলাদা হবে, সে কথা মেনে নিচ্ছেন সুকান্ত। এই প্রসঙ্গে তাঁর যুক্তি, শুভেন্দু ভিন্ন রাজনৈতিক মানসিকতা থেকে এসেছেন, তাই ভাবনার পদ্ধতিতে অমিল থাকতে পারে। বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, “ওঁর বাবা কংগ্রেসের নেতা ছিলেন। পরে ওঁরা তৃণমূলে যোগ দেন। এতদিন যে পদ্ধতি ভাবতেন তার থেকে আমাদের দলের পদ্ধতি আলাদা। তবে এতে মতবিরোধ হওয়ার কোনও ব্যাপার নেই।”

সুকান্তর ব্যাখ্যা, বিজেপি হল গঙ্গা নদীর মতো। এই দলে যোগ দিলে নেতার ব্যক্তিসত্ত্বা আর থাকে না, তিনি দলের একজন হয়ে যান। রাজ্য সভাপতি বলেন, “দলের একটা গঠন পদ্ধতি আছে। অবজার্ভাররা আছেন। মত না মিললে, কোনটা ঠিক সেই সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সিস্টেমটা অনেকটা গঙ্গা জলের মতো। অন্যান্য নদীর জল যেমন মিশলে গঙ্গা হয়ে যায়। বিভিন্ন দল থেকে এলে তেমনই নেতারা বিজেপির হয়ে যান। এটাই দলের শক্তি। শুভেন্দুও এখন শুধুই বিজেপির।”

সুকান্তর আরও দাবি, এমন কোনও প্রোগাম হয়নি, যেখানে শুভেন্দু ও তাঁর থাকার কথা কিন্তু থাকেননি। তবে সুকান্ত মনে করেন, নন্দীগ্রামের বিধায়ক একজন বড় নেতা। তাই তিনি যেখানে যান, তাঁকে ঘিরে একটা উন্মাদনা তৈরি হয়। আশপাশের দু তিনটে জেলাতেও তার প্রভাব পড়ে। তাই সেখানে গিয়ে ভিড় বাড়িয়ে লাভ নেই বলেই মত সুকান্তর। সে কারণেই শুভেন্দু যেখানে যান, তার ভিন্ন পথ বেছে নেওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেন সুকান্ত।