Nandigram Case: নন্দীগ্রাম মামলা অন্য রাজ্যে সরানোর ‘সুপ্রিম’ আবেদন প্রত্যাহার শুভেন্দুর
Suvendu Adhikari: মামলাটি যাতে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে অন্য রাজ্যে সরানো হয়, সেই আর্জি নিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে শুক্রবার সেই মামলা প্রত্যাহার করে নিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ শুক্রবার জানিয়ে দিয়েছে, মামলা শুনবে কলকাতা হাইকোর্টই।
কলকাতা ও নয়া দিল্লি : ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের ফল নিয়ে আগেই কলকাতা হাইকোর্টে একটি ইলেকশন পিটিশন জমা পড়েছিল। ইলেকশন পিটিশন দায়ের করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মামলা চলছিল কলকাতা হাইকোর্টে। কিন্তু এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। মামলাটি যাতে পশ্চিমবঙ্গের বাইরে অন্য রাজ্যে সরানো হয়, সেই আর্জি নিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। তবে শুক্রবার সেই মামলা প্রত্যাহার করে নিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ শুক্রবার জানিয়ে দিয়েছে, মামলা শুনবে কলকাতা হাইকোর্টই।
সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের কথা প্রকাশ্যে আসার পরই খোঁচা দিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি টুইটারে লিখেছেন, “নন্দীগ্রাম মামলায় শুভেন্দু অধিকারীর জন্য বড় ধাক্কা। নন্দীগ্রামে নির্বাচনের মামলা অন্য যে কোনও হাইকোর্টে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আজ শুনানি ছিল। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তাই শুভেন্দু অধিকারী সেই আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলার আরও দ্রুত শুনানি হবে।”
Set back for Shubhendu in Nandigram case. Shuvendu asked for transfer the Nandigram election case to any other High Court. Heard today. SC didn’t entertain so Subhendu Adhikari withdrew the SC transfer application. Now the case will be heard fast in Calcutta High Court itself.
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) September 2, 2022
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সবথেকে হাইভোল্টেজ কেন্দ্র ছিল নন্দীগ্রাম। একদিকে শুভেন্দু অধিকারী। অন্যদিকে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনে মমতা হারিয়ে বিধায়ক হন শুভেন্দু। এরপরই কলকাতা হাইকোর্টে একটি ইলেকশন পিটিশন দায়ের করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ ছিল, নির্বাচনের ফল গণনার সময়ে কারচুপি হয়েছে। প্রথমে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে ওই মামলাটি উঠেছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তিনি নন্দীগ্রামের মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন।