Ram Mandir: অকাল দীপাবলি হবে ভবানীপুরে, শুভেন্দু বললেন, ‘মমতা বসে বসে দেখবেন’
Suvendu Adhikari: বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও বার্তা দিয়ে রাখলেন, ভবানীপুর এলাকায় যদি কেউ প্রদীপ কিনতে না পারেন, তাঁদের বাড়িতে প্রদীপ উপহার পাঠাবেন তিনি। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় শুভেন্দু বললেন, "ভবানীপুরে যাঁরা প্রদীপ কিনতে পারবেন না, সব বাড়িতে আমি পাঁচটা করে প্রদীপ পাঠাবো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বসে বসে দেখবেন, গোটা ভবানীপুরে ২২ জানুয়ারি সন্ধেবেলা অকাল দীপাবলি হবে।"
কলকাতা: ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের মেগা উদ্বোধন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইতিমধ্যেই গোটা দেশবাসীর উদ্দেশে আহ্বান জানিয়েছেন, সেদিন সন্ধেয় ‘অকাল দীপাবলি’ পালনের জন্য। এবার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও বার্তা দিয়ে রাখলেন, ভবানীপুর এলাকায় যদি কেউ প্রদীপ কিনতে না পারেন, তাঁদের বাড়িতে প্রদীপ উপহার পাঠাবেন তিনি। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় শুভেন্দু বললেন, “ভবানীপুরে যাঁরা প্রদীপ কিনতে পারবেন না, সব বাড়িতে আমি পাঁচটা করে প্রদীপ পাঠাবো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বসে বসে দেখবেন, গোটা ভবানীপুরে ২২ জানুয়ারি সন্ধেবেলা অকাল দীপাবলি হবে।”
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের বাকি আর হাতে গোনা কয়েকটা মাস। রাম মন্দির নির্মাণের সঙ্গে কেন্দ্রের তরফে কোনও অর্থব্যয় করা হয়নি। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের ব্যাখ্যা, ভোটের আগে অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনকে পুরোদমে কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি। সূত্রের খবর, লোকসভা ভোটের আগে দু’মাসে প্রায় ৩০ লাখ কর্মীকে অযোধ্যার রাম মন্দির দর্শন করার সুযোগ দেবে বিজেপি।
তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে অবশ্য ইতিমধ্যেই রাম মন্দির উদ্বোধন ঘিরে বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনীতিকরণের তত্ত্ব তুলে ধরা হয়েছে। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা দলীয় মুখপাত্র কুণাল ঘোষ যেমন বলেই দিয়েছেন, ভগবান রামের প্রতি সকলের শ্রদ্ধা রয়েছে। কিন্তু তাঁর দাবি, ‘রামকে ভোটের এজেন্ট হিসেবে ব্যবহার করে বিজেপি ধর্মীয় আবহ তৈরি করতে চায়। ভগবান রামকে নিয়ে মার্কেটিং-এ আমাদের আপত্তি আছে।’
এদিকে আবার আজ নবান্নের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও রাম মন্দির উদ্বোধন প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয়েছিল। সেখানেও মমতা বলেন, “আপনি যান না। আপনাকে যেতে কেউ বারণ করেননি। আমি আগেও বলেছি, ধর্ম যার যার, কিন্তু উৎসব সবার।”