Suvendu Adhikari: সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে রাজ্য, আগেভাগেই ক্যাভিয়েট দাখিল করতে চলেছেন শুভেন্দু
Suvendu Adhikari: সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করতে চলেছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, "এর আগে বগটুই মামলা থেকে শুরু করে ওবিসি মামলা পর্যন্ত আমরা দেখেছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্টে যায়। আমার এখন ফার্স্ট ডিউটি হবে, খুব তাড়াতাড়ি সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট করে দেওয়া।"
‘তিলোত্তমা’ ধর্ষণ খুনে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন শুভেন্দু অধিকারী, কৌস্তভ বাগচীরা। শুভেন্দু বলেন, “কর্তারা ওই পরিবারকে প্রলোভন দেখিয়ে, ভয় দেখিয়ে বা অনেক কিছু দেওয়ার বিনিময়ে প্রকৃত নিরপেক্ষ তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে যাতে তদন্ত না হয়, আর প্রকৃত দোষীরা যাতে আড়াল হয়, তার চেষ্টা হয়েছিল। সেই কারণে পরিবার গতকাল আসেনি। আমি বিরোধী দলনেতা হিসাবে আর কৌস্তভ বাগচী-সহ কয়েকজন আমরা গিয়েছিলাম।”
শুভেন্দু জানান, তাঁরা আদালতে জানিয়েছিলেন তথ্য প্রমাণ নষ্ট করা হতে পারে। দ্রুত সিবিআই তদন্ত দেওয়া হোক। শুভেন্দুর কথায়, “আমরা অনেক সময়ে সিবিআই তদন্তেও দেখেছি, মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী সিবিআই তদন্ত করতে পারেনি অনেকগুলো কেসে। সিবিআই যেহেতু একটি সাংবিধানিক বডি, আমি এই তদন্তের আসল মাথা পর্যন্ত যেতে চাই, শুধুমাত্র গণধর্ষণ যাঁরা করেছেন, তাঁরা নয়, গণধর্ষণ-খন যাঁরা করেছেন, তাঁদের যাঁরা রক্ষক, তাঁদেরকেও যাতে শাস্তি দেওয়া হয়, সেই বিষয়টা আমার পিটিশনে ছিল।”
আর জি কর-কাণ্ডে আগেই দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। মঙ্গলবার আদালতে যান তিলোত্তমার বাবা-মা। নির্যাতিতার পরিবারকে মামলায় প্রধান পার্টি করা হয়। তার আগে সোমবারই তিলোত্তমার বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই বিষয়টিকে কটাক্ষ করেই শুভেন্দু বলেন, “গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো সহানুভূতি দেখাতে যাননি। তাহলে শুক্রবারই যেতেন, শনিবারই যেতেন। অ্যাকশন নিতে গেলে সন্দীপ ঘোষকে ওই দিনই সরাতে হত। ওইদিন বিনীত গোয়েলকে দিয়ে ইউডি কেস হত না। ওঁ গতকাল গিয়েছিলেন ম্যানেজ করতে। পরিবারকে আমি ধন্যবাদ জানাব। মিঠু মজুমদার, নির্মল ঘোষ, সৌগত রায়, পুলিশের অলোক রাজোরিয়া, বিনীত গোয়েল ঘিরে বসেছিল ওর পরিবারকে। যাতে পরিবার কোনওভাবে মুখ খুলতে না পারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরিবার এই কেসে পার্টি হয়েছে।” শুভেন্দুর কথায়, “কোর্ট মনিটারিং সিবিআই-এর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। যাতে সিবিআই এই কেসে কোনও শিথীলতা দেখাতে না পারে, তার জন্য কোর্ট মনিটারিং করবে।” প্রসঙ্গত, প্রধান বিচারপতিও এদিনই হাইকোর্টে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে এখনই কেস ডায়েরি নিয়ে নেয় সিবিআই।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)