HC On Barasat Blast: ‘এখনও তদন্ত অপরিণত’, দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে শুভেন্দুর মামলা খারিজ কলকাতা হাইকোর্টে
HC On Duttapukur Blast: হাইকোর্টের বক্তব্য, এখনই এই তদন্ত একেবারেই অপরিণত অবস্থায় রয়েছে, তাই এই মামলার শুনানি এখনই সম্ভব নয়। তাই রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা মামলা খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
কলকাতা: দত্তপুকুরে বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ের হওয়া রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মামলা খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিজেপির দুটি মামলাই খারিজ প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে। হাইকোর্টের বক্তব্য, এখনই এই তদন্ত একেবারেই অপরিণত অবস্থায় রয়েছে, তাই এই মামলার শুনানি এখনই সম্ভব নয়। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেন, “২৭ অগস্টের ১২ টা দুপুরে হয়েছে। মাত্র একদিন আগেই হয়েছে। যদি তদন্তে গাফিলতি দেখা যায় তাহলে আসুন।” প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, “সংবাদপত্রের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই মামলা হয়েছে। আমাদের দৃষ্টিতে এটা এখনও প্রিম্যাচিওর. এই রাজ্যেই নয়, বিভিন্ন রাজ্যে একই ঘটনা ঘটে। লাইসেন্স ছাড়া কারখানাতে এই ঘটনা ঘটে। রাজ্য ইতিমধ্যেই তদন্ত করছে।” আর সেই তদন্ত একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম। তাই তিনি এই মামলা খারিজ করে দেন।
এদিনের শুনানিতে আরও এক পক্ষ ছিল এনআইএ। এনআইএ-এর আইনজীবী ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল বলেন, “আমাদের টিম গিয়েছিল ঘটনাস্থলে। এই ঘটনা পুনারাবৃত্তি ছাড়া আর কিছুই নয়। এফআইআরে বিস্ফোরণের ধারা নেই। এই ঘটনার তদন্ত করতে দেওয়া হোক।”
প্রসঙ্গত, দত্তপুকুর বিস্ফোরণকাণ্ডে জোড়া মামলা দায়ের হয় সোমবার। দুটিই বিজেপির পক্ষ থেকে করা হয়। মামলাকারীদের এক জন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও অপর জন বিজেপি নেতা রাজর্ষি লাহিড়ী। এই ঘটনার তদন্তভার এনআইএ-এর হাতে দেওয়ার আবেদন জানান তিনি। শুভেন্দুর বক্তব্য ছিল, এর আগেও রাজ্যে একাধিক বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তভার এনআইএ-এর হাতে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেসব ক্ষেত্রে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে। তথ্য হস্তান্তরের ক্ষেত্রেও রাজ্য পুলিশ সহযোগিতা করছে না বলে অভিযোগ করেন। শুভেন্দু অভিযোগ করেছিলেন, “দত্তপুকুরে বিস্ফোরণের যা অভিঘাত, কেবলমাত্র চকোলেট বোমা ফাটলে হয় না, ওখানে RDX ছিল।”
সোমবারই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জোড়া মামলার শুনানি ছিল। সেই শুনানি প্রথমেই প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, এই মামলার তদন্তপ্রক্রিয়া অত্যন্ত অপরিণত অবস্থায় রয়েছে। তাই এখনই শুনানির প্রয়োজন নেই। বিজেপির আইনজীবীকে কিছু বলতেই দেননি প্রধান বিচারপতি।