Duttapukur Blast: দত্তপুকুরে বিস্ফোরণকাণ্ডে সদর দফতরে রিপোর্ট পাঠাতে চলেছে NIA
Duttapukur Blast: গতকালই রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনায় এনআইএ কিংবা সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। তারপরই ঘটনাস্থলে এনআইএ আসার প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছিল, তাহলে কি এই ঘটনায় তদন্তভার হাতে নিতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি?
দত্তপুকুর: নীলগঞ্জে বিস্ফোরণের ঘটনায় এবার দিল্লিতে সদর দফতরে রিপোর্ট পাঠাতে চলেছে এনআইএ। বিস্ফোরণের ঘটনায় কত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, কত বাড়ি ভেঙেছে, অভিঘাত কত দূর পৌঁছেছে, সেই তথ্য-সহ রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলের ছবি-সহ রিপোর্ট পাঠানো হবে। সোমবার ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন এক এনআইএ আধিকারিক। তথ্য সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছেন তিনি।
সোমবার দুপুরে যখন এনআইএ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে যান, তখন সেখানে তদন্ত করছিলেন পুলিশ আধিকারিকরা। এক এনআইএ কর্তা ও এক কর্মী ঘটনাস্থলে যান। তদন্তকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। কিছুটা ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন তাঁরা। মিনিট পনেরো কুড়ি পর তাঁরা চলে যান। তারপরই আবার ঘটনাস্থলে যান এডিজি সাউথ।
গতকালই রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই ঘটনায় এনআইএ কিংবা সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। তারপরই ঘটনাস্থলে এনআইএ আসার প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছিল, তাহলে কি এই ঘটনায় তদন্তভার হাতে নিতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি? জানা যায়, সরকারিভাবে এখনই এনআইএ তদন্তভার হাতে নিচ্ছে না। তবে নিয়ম অনুযায়ী, যে কোনও জায়গায় বিস্ফোরণ হলেই, প্রাথমিকভাবে খোঁজখবর করেন এনআইএ আধিকারিকরা। তবে তদন্তভার হাতে নেওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের ওপরে। সূত্রের খবর, এনআইএ যে রিপোর্টটি পাঠাচ্ছে, তা একেবারেই নিয়মমাফিক প্রাথমিক একটি রিপোর্ট। তবে উল্লেখ্য,এনআইএ-এর ছানবিন এই ঘটনায় বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে ৪ জনই মুর্শিদাবাদের সুতির চাঁদরা বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে আবার দু’জনের পরিবারের সদস্য নিমতিতা বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ হেফাজতে। ফলে সে দিক থেকে এই ঘটনার যোগসূত্র রয়েছে।
এই বিস্ফোরণে প্রথম থেকেই মুখ পড়েছে পুলিশের। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে কাঠগড়াতে পুলিশ প্রশাসনই। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, রাজ্য পুলিশের ডিজি ও কলকাতা পুলিশ কমিশনারকেও তলব করেছিলেন পুলিশ মন্ত্রী। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই দত্তপুকুর থানার আইসি শুভব্রত ঘোষ ও নীলগঞ্জ ফাঁড়ির ওসি হিমাদ্রি ডোগরাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। দত্তপুকুরের বিস্ফোরণকাণ্ডে তদন্তভার রাজ্য পুলিশের হাতেই থাকে, নাকি কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে যায়, সেটাই দেখার।