একধাক্কায় বেতনে কোপ, বড় বিপর্যয়ের সম্মুখীন সুইগি-জ্যোমাটোর হাজারো কর্মী

Swiggy Zomato: সুইগি হোক বা জ্যোমাটো, এই দুই সংস্থার কর্মীদেরই রোজগার মূলত হয় ইনসেন্টিভ ও ডেলিভারি পিছু আয় থেকে।

একধাক্কায় বেতনে কোপ, বড় বিপর্যয়ের সম্মুখীন সুইগি-জ্যোমাটোর হাজারো কর্মী
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 09, 2021 | 6:47 PM

কলকাতা: রাতারাতি বিরাট বড় বিপর্যয়ের সম্মুখীন সুইগি-জ্যোমাটোর মতো অ্যাপ নির্ভর খাবার ডেলিভারি সংস্থার কর্মচারীরা। সূত্রের খবর, একধাক্কায় এই দুই সংস্থা তাদের ডেলিভারি বয়দের বেতন কমিয়ে দিয়েছে। যার ফলে মাসিক বেতনের উপর এর বিরাট বড় কোপ নেমে এসেছে। মাসিক বেতন একধাক্কায় ৫-৬ হাজার টাকা কমে গিয়েছে বলে দাবি দুই সংস্থার কর্মীদের। তা সত্ত্বের বিকল্প কোনও রোজগারের উপায় না থাকায় কম বেতনেই কাজ করে যেতে হচ্ছে খাবার ডেলিভারি করা কর্মীদের।

সুইগি হোক বা জ্যোমাটো, এই দুই সংস্থার কর্মীদেরই রোজগার মূলত হয় ইনসেন্টিভ ও ডেলিভারি পিছু আয় থেকে। কোপ পড়েছে এই দুয়েই। অতিমারির দুই ঢেউয়ের কোপে খাবার ডেলিভারি ব্যবসাও প্রভূত মন্দার মুখ দেখেছিল। দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ কমে আসায় সেই ধীরে ধীরে মাথা তুলে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে এই ব্যবসা। এরই মধ্যে বড়সড় ধাক্কা খেলেন এই পেশার সঙ্গে জড়িত কয়েক হাজার কমবয়সি ছেলে-মেয়ে। যাঁরা অনেকে সংসার চালানোর জন্যই এই কাজ করে থাকেন। কেউ আবার মন্দার বাজারে চাকরির পাশাপাশি দু’টো টাকা বেশি রোজগারের জন্য এই কাজ করেন।

সংস্থার কর্মচারীরা জানাচ্ছেন, আগে গাড়ির তেল খরচ বাদ দিয়ে দিনে ১১০০-১২০০ টাকা পর্যন্ত রোজগার হয়ে যেত। সেটা এখন অনেকটাই কমে গিয়েছে। এর প্রধান কারণ, ইনসেন্টিভ ও ডেলিভারি পিছু রোজগারই কমিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ইনসেন্টিভের টাকা কমিয়ে প্রায় অর্ধেক করে দেওয়া হয়েছে। প্রতি খাবার ডেলিভারি পিছু আয় কমেছে প্রায় ১৫ টাকা। সমস্যা আরও রয়েছে। কর্মীদের অভিযোগ, আগে যেখানে নির্দিষ্ট কিছু কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যেই ডেলিভারি দেওয়া হত, এখন আর সেটাও হয় না। অনেকটাই দূরে দূরে ডেলিভারি দেওয়ার নির্দেশ আসে। এর ফলে খাবার ডেলিভারির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ফলে রোজগারও কমে যাচ্ছে আপসেই।

যদিও সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, ইদানীং দুই সংস্থাতেই ডেলিভারি বয়ের সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। চাহিদার তুলনায় কর্মীদের জোগান বেশি, এমন পরিস্থিতিও তৈরি হওয়ার আশঙ্কা করছে দুই সংস্থা। যে কারণে খরচের ভারসাম্য বজায় রাখতেই ইচ্ছাকৃতভাবে টাকা কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আরও পড়ুন: পিএম কিসান নিধি: বাংলার প্রায় ৪২ লক্ষ চাষি ‘বঞ্চিত’ কার দোষে? শুরু কেন্দ্র-রাজ্য তরজা