নিজের ছেলেবেলাকে ‘চিঠি’ লিখে বিশ্ব দরবার থেকে রুপো আনলেন বঙ্গ তনয়া

ছেলেবেলা থেকেই লেখালিখিই তার নেশা। মাত্র ১০ বছর বয়সে উপন্যাস লিখে ফেলেছিল সে।

নিজের ছেলেবেলাকে ‘চিঠি’ লিখে বিশ্ব দরবার থেকে রুপো আনলেন বঙ্গ তনয়া
তন্নিষ্ঠা নন্দী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 29, 2021 | 10:34 PM

কলকাতা: ছেলেবেলা থেকেই গল্পের বইয়ের গন্ধে একটা আলাদা টান। বইয়ের পাতায় পাতায় কল্পনার হাতছানি। এটাই বোধ হয় নেশা তন্নিষ্ঠার। আর সেই নেশাই আজ তাকে সাফল্য এনে দিল বিশ্বের দরবারে। কলমের আঁচড়েই রুপো আনল কলকাতার কিশোরী তন্নিষ্ঠা নন্দী। ‘ইউনেসকো’ আয়োজিত আন্তর্জাতিক স্তরের লেখনী প্রতিযোগিতায় রুপো জিতেছে সে। একমাত্র ভারতীয় হিসেবে এই পুরস্কার পেয়েছে তন্নিষ্ঠা।

‘ইউনেস্কোর গ্লোবাল রাইটিং কম্পিটিশনে’ ১৪-১৫ বছর বয়সী গ্রুপের মধ্যে তন্নিষ্ঠা রুপো জিতেছে। বর্তমানে কলকাতার ইন্ডাস ভ্যালি ওয়ার্ল্ড স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ে তন্নিষ্ঠা। তার এই সাফল্যে অবশ্যই খুশি তার পরিবার। তবে পুরস্কার পাওয়া এই প্রথম নয়, লেখালিখিও নতুন নয় তন্নিষ্ঠার কাছে। মাত্র ১০ বছর বয়সে ভারতে কনিষ্ঠ ঔপন্যাসিক (ইয়ং নভেলিস্ট) হিসেবে সম্মান পেয়েছিল সে। তারপর থেকে কলম থামেনি তন্নিষ্ঠার। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে নিজের উদ্যোগেই। তবে বিশ্বের নিরিখে এই এমন পুরস্কার প্রথমবার পেল তন্নিষ্ঠা।

বরাবরই তাঁর লেখায় প্রাধান্য পেয়েছে কল্পনা। আর এ বার সে লিখেছিল একটি চিঠি। না, কোনও সাধারণ চিঠি নয়। বড় হয়ে যাওয়া তন্নিষ্ঠাই চিঠি লিখেছিল ছোট তন্নিষ্ঠাকে। তার লেখার বিষয় ছিল ‘Dear Young Me’। অর্থাৎ তন্নিষ্ঠা যেন কল্পনায় অনেক বড় হয়ে গিয়েছে। আর সে ছেলেবেলার তন্নিষ্ঠাকে চিঠি লিখছে। সেই লেখাতেই হল ‘বিশ্ব জয়’। মেল করে আপাতত শংসাপত্র পাঠানো হয়েছে তন্নিষ্ঠাকে। পরে পাঠানো হবে পুরস্কার।

তন্নিষ্ঠার মা রূপাঞ্জনা দেবী পেশায় আইনজীবী। আইন নিয়ে লেখা তাঁর বেশ কয়েকটি বই রয়েছে। তন্নিষ্ঠার বাবা পেশায় বিজ্ঞানী হলেও লেখালিখি পছন্দ করেন। তবে রূপাঞ্জনা দেবীর কথায়, ‘আমরা ওত মতো কেউই লিখতে পারি না।’ ছোটবেলা থেকে মা’কে তন্নিষ্ঠা ল্যাপটপে লিখতে দেখেছে ঠিকই, তবে লেখার বিষয়ে মিল নেই একেবারেই। তবে ছোট থেকেই তন্নিষ্ঠার নেশা গল্পের বইয়ের ভিতর ডুবে থাকা। তার ঘর যেন একটা ছোটখাটো লাইব্রেরি। আর তার এই সাহিত্যের জগতে ওড়ায় কোনও বাধা নেই পরিবারের। আরও পড়ুন:  বাংলার ৬ জেলা পাচ্ছে নতুন মেডিক্যাল কলেজ, ঘোষণা রাজ্যের, সাহায্য করছে কেন্দ্রও