BSF: বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশে মরিয়ারা হয়ে উঠছে আক্রমণাত্মক, বিএসএফও মোকাবিলায় প্রস্তুত
BSF: ডিআইজি, পিআরও, বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত একে. আর্য বলেন, "আমাদের কাজের ক্ষেত্রে এই ধরনের ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। বিএসএফ জওয়ানরা অস্বাভাবিক সাহস এবং সতর্কতার সঙ্গেই দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। যে কোনও পরিস্থিতিতেই আমাদের দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।"
কলকাতা: অনুপ্রবেশ সমস্যা সীমান্ত এলাকাগুলিতে ক্রমেই প্রকট হচ্ছে। এবার সীমান্ত পেরিয়ে ঢোকার সময় ১৫-২০ জন বাংলাদেশিকে রুখল বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জওয়ানরা। অনুপ্রবেশ রুখতে গিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের হামলারও শিকার হন এক জওয়ান। যদিও সীমান্ত রক্ষায় সদা জাগ্রত বাহিনীর সামনে খুব বেশি সময় টিকতে পারেনি অনুপ্রবেশকারীরা। কল্যাণীর সীমান্ত চৌকি ৫ ব্যাটালিয়নের বেড়হীন নদী সীমান্তে এই ঘটনা ঘটে।
রাত প্রায় আড়াইটে নাগাদ ১৫ থেকে ২০ জন বাংলাদেশি অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল। সীমান্তরক্ষীরা ধেয়ে গেলে আক্রমনাত্মক হয়ে ওঠে অনুপ্রবেশকারীরা। আত্মরক্ষায় অনুপ্রবেশকারীদের দিকে ২ রাউন্ড গুলি চালায় জওয়ানরা। এরপরই বাংলাদেশের দিকে পালায় অনুপ্রবেশকারীরা। শুধু এখানেই নয়, কৃষ্ণনগরের অধীনে ৬৮ তম ব্যাটালিয়ন বর্ডার ফাঁড়ি রাংঘাটের জওয়ানরাও অনুপ্রবেশ রুখতে গেলে অনুপ্রবেশকারীরা আক্রমনাত্মক হয়ে ওঠে। যদিও সেই হামলাও রুখে দেয় ভারতীয় জওয়ানরা।
বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের আঞ্চলিক সদর দফতর কলকাতার সীমান্ত চৌকি তারালি-১ এবং আংরেল ও নদিয়া জেলা সদর দফতর কৃষ্ণনগরের সীমান্ত ফাঁড়ি মহেন্দ্র ও রাংঘাটের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের আঞ্চলিক সদর দফতর বহরমপুর ফাঁড়ি জলঙ্গি, বাউসুমারি ও কাহারেদপাড়াতেও এই ধরনের পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয় জওয়ানদের। বাধা পেলেই আক্রমণের পথে হাঁটার চেষ্টা করছে অনুপ্রবেশকারীরা।
ডিআইজি, পিআরও, বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত একে. আর্য বলেন, “আমাদের কাজের ক্ষেত্রে এই ধরনের ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। বিএসএফ জওয়ানরা অস্বাভাবিক সাহস এবং সতর্কতার সঙ্গেই দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। যে কোনও পরিস্থিতিতেই আমাদের দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।”