Fraud Case: ‘গিফট ভাউচার জিতেছেন’ বলে ফোন, লিঙ্কে ক্লিক করতেই মহিলার কপালে হাত

Fraud Case: ধৃতদের নাম রাজেশ কেওয়াত, রওশান কুমার, ও রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের তল্লাশি চালিয়ে বাজেয়াপ্ত হয় ৪০টি মোবাইল, ২০০ কম্পিউটার, ৩ ল্যাপটপ, ১০ ব্যাঙ্কের চেকবুক ও ১২টি ডেবিট কার্ড, ৪টি স্ট্যাম্প , ৪টি হার্ডডিস্ক, ৮টি রাউটার।

Fraud Case: 'গিফট ভাউচার জিতেছেন' বলে ফোন, লিঙ্কে ক্লিক করতেই মহিলার কপালে হাত
অভিযুক্ত তিনজন (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 18, 2023 | 5:10 PM

কলকাতা: সরকারি সাইবার ওয়েব পোর্টালের অপব্যবহার করে প্রতরণার অভিযোগ। এখানেই শেষ নয়, অভিযুক্তরা ভুয়ো কল সেন্টারও খুলে প্রতারণা চালাত বলে অভিযোগ। অভিযুক্তদের শনিবার বিধান নগর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। এরপর নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় আদালত। ধৃতদের নাম রাজেশ কেওয়াত, রওশান কুমার, ও রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের তল্লাশি চালিয়ে বাজেয়াপ্ত হয় ৪০টি মোবাইল, ২০০ কম্পিউটার, ৩ ল্যাপটপ, ১০ ব্যাঙ্কের চেকবুক ও ১২টি ডেবিট কার্ড, ৪টি স্ট্যাম্প , ৪টি হার্ডডিস্ক, ৮টি রাউটার।

ঘটনার সূত্রপাত গত ২৩ শে জানুয়ারি। উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের বাসিন্দা মঞ্জু শর্মার মোবাইলে একটি অজানা নম্বর থেকে ফোন আসে। নিজেকে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার হিসেবে পরিচয় দেন এক ব্যক্তি। এরপর মঞ্জুদেবীকে বলা হয়, তিনি তিন-চার হাজারের গিফট ভাউচার উপহার পেয়েছেন। প্রাপ্তির জন্য প্রতারিত মহিলাকে লিঙ্ক পাঠানো হয়। সেই মতো ওই মহিলা ক্রেডিট কার্ডের সম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে দেন। এরপরই তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে ২৫ হাজার টাকা উধাও হয়ে যায়।

সঙ্গে-সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের সমস্ত কথা জানালে প্রতারিত মহিলার মেয়ে অনলাইনে অভিযোগ দায়ের করার জন্য পোর্টাল অনুসন্ধান করতে যান। সেইখানে “অনলাইন লিগাল ইন্ডিয়া” নামে একটি ওয়েবসাইট খুঁজে পান তিনি। সেই ওয়েবসাইটে যাবতীয় তথ্য এবং বিবরণ দেওয়া হয়। অভিযোগ করতে গেলে ফি বাবদ ১ হাজার ১৮০ টাকা নেওয়া হয়। এরপরেই প্রতারকরা প্রতারিত ব্যক্তির যাবতীয় তথ্য নিয়ে ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টালে প্রবেশ করে প্রতারিত মহিলার তথ্য ফিলাপ করেন বলে অভিযোগ। শুধুমাত্র কত টাকা তার সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে? কোন ব্যাঙ্ক থেকে প্রতারণা হয়েছে সেই সমস্ত তথ্য দিতেন না প্রতারকরা। তার ফলে উক্ত ব্যক্তির সঙ্গে আদৌ প্রতারণা হয়েছে কি না, সরকারি সাইবার ক্রাইম রিপোর্টিং পোর্টালে সুনিদিষ্ট তথ্য থাকত না। প্রতারিত হওয়া ব্যক্তিরা যখন আরটিআই করে জানতে চাইতেন তাঁদের কেসের অবস্থান সম্পর্কে, সেই রকম কোনও তথ্যপাওয়া যেত না।

এইরকম একাধিক আরটিআই করে জানতে চাওয়ার অভিযোগ বিধান নগর সাইবার ক্রাইম শাখায় আসে। সেই মতো বিধান নগর সাইবার ক্রাইম শাখার তদন্তকারী আধিকারিকরা প্রতারিত মহিলাকে ডেকে পাঠিয়ে সমস্ত ঘটনা জানার চেষ্টা করেন। এরপর বিধান নগর সাইবার ক্রাইম শাখা পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি নগরীতে অভিযান চালিয়ে তিন মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।