Abhishek Banerjee: ‘১০০ দিনের টাকা পেলে, প্রাণে বেচে যেত’, এগরার বিস্ফোরণে কেন্দ্রের দিকেই দায় ঠেললেন অভিষেক
Abhishek Banerjee on Egra Blast: অভিষেক বললেন, 'আজ পেট চালানোর জন্য নিজের জীবন বাজি রেখে... কাজ পাচ্ছে না বলে বাজি কারখানায় গিয়ে কাজ নিচ্ছে। এর দায় নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ এড়িয়ে যেতে পারেন না। বাংলার ১০০ দিনের কাজের টাকা যদি ছাড়ত, তাহলে দুর্ঘটনা ঘটলেও মানুষের প্রাণ যেত না।'
কলকাতা: এগরার বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ (Egra Blast) ঘিরে ইতিমধ্যেই একশো দিনের কাজের বকেয়া টাকার তত্ত্ব তুলে আনতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। এবার সেই নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও (Abhishek Banerjee)। বললেন, ‘মৃত্যু নিয়ে কোনওদিন রাজনীতি করা উচিত না। কিন্তু আজ পেট চালানোর জন্য নিজের জীবন বাজি রেখে… কাজ পাচ্ছে না বলে বাজি কারখানায় গিয়ে কাজ নিচ্ছে। এর দায় নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ এড়িয়ে যেতে পারেন না। বাংলার ১০০ দিনের কাজের টাকা যদি ছাড়ত, তাহলে দুর্ঘটনা ঘটলেও মানুষের প্রাণ যেত না। বিজেপি মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে। এদের যদি নীতি, আদর্শ বা ন্যূনতন মনুষ্যত্ব থাকে, এদের পদত্যাগ করা উচিত। যদি একশো দিনের টাকা পেত এরা বেঁচে থাকতে পারত।’
তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এই একশো দিনের কাজের টাকা আটকে রাখার সঙ্গে এগরার বাজি কারখানার বিস্ফোরণের তত্ত্ব জুড়ে ইতিমধ্যেই তাদের টুইটার হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেছে। তৃণমূলের দাবি, কেন্দ্র একশো দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না বলেই ওই এলাকার মানুষজন বাজি কারখানা গিয়ে কাজ করছেন। যদিও তৃণমূলের এই দাবির পাল্টা দিয়েছে বিজেপি শিবিরও। পদ্ম শিবিরের দাবি, এটাই যদি স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য হত, তাহলে এগরায় গিয়ে জনরোষের মধ্যে পড়ে তৃণমূলের নেতাদের পালিয়ে আসতে হত না।
প্রসঙ্গত, এগরার ওই বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, ওই এলাকায় পঞ্চায়েত চালাচ্ছে বিজেপি। সেক্ষেত্রে সেখানকার পঞ্চায়েতের এই বিষয়টি কীভাবে নজর এড়িয়ে গেল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। আর এবার একশো দিনের কাজের টাকা আটকে রাখাকেই বাজি কারখানার বিস্ফোরণে মৃত্যুর কারণ হিসেবে দেখছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও এদিন বললেন, যদি কেন্দ্র একশো দিনের কাজের টাকা দিয়ে দিত, তাহলে হয়ত এদের প্রাণ যেত না।