TMC Clash: বেলেঘাটায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল, রক্তদান শিবিরকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা! নাম জড়াল কাউন্সিলরের

TMC Clash: রক্তদান শিবিরকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল বেলেঘাটায়। স্থানীয় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তৃণমূলে নেতার।

TMC Clash: বেলেঘাটায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল, রক্তদান শিবিরকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা! নাম জড়াল কাউন্সিলরের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 28, 2022 | 5:00 PM

কলকাতা: বেলেঘাটাতে রক্তদান শিবিরকে (Blood Donation Camp) কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। যে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গন্ডোগোল তার একদিকে রয়েছেন ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা বীরেন দত্ত। তাঁর উদ্যোগেই আয়োজন করা হচ্ছিল রক্তদান শিবির। তাঁর অভিযোগ স্থানীয় কাউন্সিলর আশুতোষ দাসের অনুগামীরাই তাঁদের রক্তদান শিবিরের আয়োজনের প্রস্তুতিতে হামলা চালায়। এমনকী তাঁর লোকজনকে মারধরের অভিযোগও করা হয়েছে। এ ঘটনারই অভিযোগ জানাতে এলাকার বিধায়ক পরেশ পালের কাছে আসেন বীরেন। 

এ প্রসঙ্গে বীরেন দত্ত বলেন, ”ওনাকে সবটাই জানালাম। উনি শুনলেন। উনি বললেন আমি কথা বলেছি। তখন আমি বলি কথা বললে হবে না। উনি অন্যায় ভাবে এ কাজ করেছেন। ওনাকে মানুষের কাছে কী গিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে।” তবে ঝামেলার মূল উৎপত্তি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আশুতোষ দাসের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে বীরেন দত্ত বলেন,ওনার রক্তদান শিবিরে ২২-২৩ জন রক্ত দেয়। আমার রক্তদান শিবিরে ২০০-২৫০ জন রক্ত দেয়। ২০০-২৫০-র উপরে রথ আসে। বেলেঘাটায় একটা বড় কম্পিটিশন হয়। এটা উনি মানতে পারছেন না।”

অন্যদিকে ঘটবনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কাউন্সিলর আশুতোষ দাস জানান, ”৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের সবাই তো আমার লোক। তাই কিছু হলেই প্রথমে আমাদের দিকে আঙুল ওঠে। বীরন দত্ত তো এলাকার নেতা নয় কর্মী। আর তা ছাড়া আমাকেই তো ওরা সংবর্ধনা দিচ্ছে। সেখানে সেসব কথা বলছে কেন আমি ভেবে পাচ্ছি না। পরেশদা এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছেন। আমার সঙ্গে ফোনে কথাও বলেছেন।” যদিও এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা বীরেন দত্ত বলেন, ”উনিই করেছেন। কিন্তু এখন এটা অস্বীকার করছেন। আমার একটু অভিষেকের সঙ্গে চেনাজানা আছে, মমতার বাড়িতে যাতায়াত আছে এটা উনি মানতে পারছেন না। উনি চাইছেন ওমার চায়ের কাপ ফেলব, ওনার সঙ্গে থাকব, উনি যখন বসতে বলবেন বসব, এটা তো আমার দ্বারা হবে না। আমার সংগঠনটা ভাঙতে চাইছেন উনি। হিংসা থেকেই এ কাজ করছেন।”  যদিও এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেও কোনও কথা বলতে জাননি পরেশ পাল।