Kunal Ghosh: ‘পার্কিং ফি ক্লোজড চ্যাপ্টার’, ফিরহাদকে ‘যোগ্য লোক’ বললেন কুণাল
কুড়মি আন্দোলনকানরীদেরও আন্দোলন তুলে নেওয়ার বার্তা দেন কুণাল ঘোষ।
কলকাতা: চলতি মাসের প্রথম দিন থেকে শহরে বেড়েছিল পার্কিং ফি। এক সপ্তাহ পরই সিদ্ধান্ত বদল হয়েছে। আর সেই সিদ্ধান্ত বদলকে ঘিরে শাসকদলের মধ্যেই ‘চোরাস্রোত’ বয়ে গিয়েছে। তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই শাসকদলের তরফে বোঝানোর চেষ্টা হল, পার্কিং ফি-র সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার নিয়ে কোনও দ্বন্দ্ব নেই দলে। কলকাতা পুরনিগমের মেয়র ফিরহাদ হাকিম শনিবার এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাইলেন না। আর তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে বললেন, “পার্কিং ফি ইস্যু ক্লোজড চ্যাপ্টার।” একইসঙ্গে জানিয়ে দিলেন, “ফিরহাদ হাকিম যোগ্য লোক। পুরনো সিনিয়র নেতা। তাঁর সঙ্গে কোনও বিরোধিতা নেই।”
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পার্কিং ফি বৃদ্ধির কথা জানতেন না। জানার পর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন। কুণালের মন্তব্যের পর ‘ক্ষুব্ধ’ কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, তাঁর কাছে এখনও কোনও নির্দেশ আসেনি। প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত সাংবাদিক বৈঠক করে দলের তরফে কেনও কেউ বলবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ফিরহাদ। তবে পরে তৃণমূলের তরফে পার্কিং ফির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য কলকাতা পুরনিগমকে ধন্যবাদ জানিয়ে টুইট করা হয়। তারপর পুরনিগমের তরফেও পার্কিং ফি প্রত্যাহারের কথা জানানো হয়।
পার্কিং ফি নিয়ে কুণাল ও ফিরহাদের মন্তব্য এই মন্তব্য ঘিরে বাংলার রাজনীতির অন্দরে জোর জল্পনার সৃষ্টি হয়। এবার কি তৃণমূলের শীর্ষস্তরে বিরোধ প্রকট হয়ে উঠেছে। শাসকদলের দুই শীর্ষ নেতার বিরোধ প্রকাশ্যে এল – এমন প্রশ্নও উঠতে শুরু করে। যদিও সেই জল্পনার জবাব দিয়ে এবার মুখ খুললেন রাজ্য তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “পার্কিং ফি ইস্যু ক্লোজড চ্যাপ্টার। কোনও দ্বন্দ্ব নেই। মানুষের চাপ হচ্ছিল। দল দলের অভিমুখ থেকে বলেছে। ফিরহাদ হাকিম যোগ্য লোক। পুরনো সিনিয়র নেতা। তাঁর সঙ্গে কোনও বিরোধিতা নেই। যতটুকু বলার ছিল বলেছি। আর কিছু বলার নেই।” একইসঙ্গে ফিরহাদের মন্তব্য প্রসঙ্গেও কুণাল বলেন, “দলের পার্ট যা ছিল হয়ে গিয়েছে। আমাকে উদ্দেশ্য করে ববি দা বলবে কেন? আমার তা মনে হয় না। ববিদা-ই বিরোধীদের সব জবাব দিতে যোগ্য মানুষ। তাঁর আরও দাবি, দিলীপবাবুরা দাম বাড়ানোর পক্ষে। আমরা পক্ষে নই।” অন্যদিকে, চেতলা রাখি সংঘের ক্লাবে দুয়ারে সরকার শিবিরে ফিরহাদ হাকিমকে পার্কিং ফি বিতর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি পুরো বিষয়টি এড়িয়ে যান।
অন্যদিকে, কুড়মি আন্দোলন নিয়েও এদিন শাসকদলের তরফে বিশেষ বার্তা দেন কুণাল ঘোষ। আন্দোলন তুলে নেওয়ার বার্তা নিয়ে তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে। কুড়মি আন্দোলনকারীদের কাছে অনুরোধ, অবরোধ তুলে নিন।” একইসঙ্গে বাংলা অশান্ত হওয়ার অভিযোগ খারিজ করে তাঁর পাল্টা দাবি, “বাংলায় শান্তি আছে। সব স্বাভাবিক। আর বামেরা মিছিল করছে। এটা অদ্ভুত ব্যাপার। ওদের মিছিলের জন্য মানুষের সমস্যা হতে পারে।” এদিন বালুরঘাটে দণ্ডি কাটানোর ঘটনারও তীব্র নিন্দা করেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “তৃণমূল এই ধরনের ঘটনা সমর্থন করে না। মহিলাদের অবমাননার নিন্দা করি আমরা। দলের তরফে গোটা ঘটনার খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।”