Suspension of BJP MLAs: বিজেপির বিধায়কদের সাসপেনশন তুলে নেওয়া হোক, মত ববি-পার্থদের
Suspension of BJP MLAs: সাত বিধায়কের সাসপেশন যাতে তুলে নেওয়া হয়, তার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। বৃহস্পতিবারই মোশন নিয়ে আলোচনা হবে।
কলকাতা : বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ সাতজন বিজেপি বিধায়কের সাসপেনশন তুলে নেওয়ার দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে সরব হয়েছে বিজেপি। বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন শুরু হলেও গত কয়েকদিনে বিধানসভা কক্ষে প্রবেশ করতে পারেননি ওই সাত বিধায়ক। বুধবারও তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। অবশেষে সেই জটিলতা কাটতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিএ কমিটির বৈঠকে সাসপেনশন তুলে নেওয়ার ক্ষে মত দিয়েছেন শাসক দলের বিধায়কেরা।
এ দিন অধিবেশন শুরু আগে ছিল বিএ কমিটির বৈঠক। সেই বৈঠকে বিজেপি বিধায়কের সাসপেনশন নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মত বিধায়কেরা সাসপেনশন তোলার পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন।
এ দিনই অধিবেশনে সাসপেনশন তুলতে বিজেপির মোশন নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে। এর আগে বাজেট অধিবেশন চলাকালীন বিরোধী দলের সাত বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী, তাঁরা যদি বিধানসভা কক্ষে আবার প্রবেশ করতে চান, তাহলে বিধানসভা থেকে তাঁদের অনুমতি দিতে হবে। সেই কারণে প্রথমে মোশন এনেছিল বিজেপি। সেই মোশন গ্রহণ করা হয়নি। পরে তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়। আদালত স্পিকারকেই সমস্যা সমাধানের কথা বলেছিল। এবার জটিলতা কাটলে ফের বিধানসভায় প্রবেশ করতে পারবেন বিধায়কেরা। আগামী ২৩ জুন পর্যন্ত অধিবেশন চলার কথা। পরে সেই মেয়াদ আরও বাড়ানো হতে পারে। তাই সব ঠিক থাকলে সম্ভবত চলতি অধিবেশনেই প্রবেশ করতে পারবেন শুভেন্দুরা।
গত ২৮ মার্চ বাজেট অধিবেশনের শেষ দিন ছিল। সে দিন তুমুল গন্ডগোল হয় বিধানসভায়। বিজেপি ও তৃণমূল বিধায়কদের মধ্যে হাতাহাতি, চুলোচুলি পর্যন্ত হয়। এমনকী রক্তপাতও হয়। এরপরই বিধানসভা থেকে পাঁচজন বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়। সেই তালিকায় ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, মনোজ টিগ্গা, শঙ্কর ঘোষ, নরহরি মাহাতো, দীপক বর্মন। অন্যদিকে ৭ মার্চ অধিবেশন শুরুর দিন রাজ্যপালের ভাষণের সময় গোলমালের জেরে দুই বিধায়ক নাটাবাড়ির মিহির গোস্বামী, পুরুলিয়ার সুদীপ মুখোপাধ্যায়কে সাসপেন্ড করা হয়। বিশেষ অধিবেশন শুরুর সময় থেকেই সেই সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবি জানায় বিজেপি।