লাল-হলুদে সেজে ক্লাব তাঁবুতে মদন, কর্তাদের হাতে তুলে দিলেন ৫০ হাজারের চেক
East Bengal: শুক্রবার বিকেলে ক্লাবের কর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন মদন। তুলে দেন ৫০ হাজার টাকার একটি চেক।
কলকাতা: মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগেই সমর্থকদের বিক্ষোভে রীতিমতো রণক্ষেত্রের আকার নিয়েছিল লাল-হলুদ তাঁবু। সেই ঘটনার একদিনের মাথায় লাল-হলুদ রঙের ধুতি-পাঞ্জাবি বাগিয়ে পদ্মাপাড়ের ক্লাবে হাজির হলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। গতকালের ঘটনার পরই ‘ব্যথিত’ প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ইস্টবেঙ্গলকে তিনি বিক্রি হতে দেবেন না। প্রয়োজনে একমাসের বেতন তিনি দান করবেন। সেই কথামতো শুক্রবার বিকেলে ক্লাবের কর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন মদন। তুলে দেন ৫০ হাজার টাকার একটি চেক।
যদিও এ দিন ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে হাজির হয়ে লক্ষ্মীবারের ঘটনার জন্য বিজেপিকেই দায়ী করেন মদন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “গতকাল যারা মার খেয়েছেন তাঁদের জন্য আমি দুঃখিত। পুরোটাই বিজেপির চক্রান্ত। ইস্টবেঙ্গলের জন্য সারা বাংলা আছে। বিধায়ক হিসেবে আমার প্রথম মাসের মাইনে দেব। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ছাড়া কোনও টুর্নামেন্ট হবে না। গতকাল যে ঘটনা ঘটেছে, আমি তার তীব্র প্রতিবাদ এই মাঠে দাঁড়িয়ে জানিয়ে গেলাম। বিধায়ক হিসেবে প্রথম মাসের মাইনে পেলে সেটাও দিয়ে যাব।”
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুরেই চুক্তি বিতর্কে তুলকালাম বেঁধে যায় লেসলি ক্লডিয়াস সরণিতে অবস্থিত ইস্টবেঙ্গলের তাঁবুতে। সমর্থকরা দুভাবে বিভক্ত হয়ে ক্লাব কর্তাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর আকার নেয় যে লাঠিচার্জ পর্যন্ত করতে হয় পুলিশকে। যার জেরে বেশ কয়েকজন সমর্থকের রক্তপাত হয়, আহত হন অনেকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে একাধিক সমর্থককে আটকও করে পুলিশ। ক্লাবের স্পনসর শ্রী সিমেন্টের পাঠানো চুক্তিপত্রে সই না করার সিদ্ধান্তের কারণেই এই বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন সমর্থকেরা। আরও পড়ুন: শুক্রবার থেকে কোভ্যাক্সিন দেওয়া বন্ধ শহরে, মাথায় হাত দ্বিতীয় ডোজ়ের অপেক্ষায় থাকা ব্যক্তিদের