TMC MLA: ‘১০ আঙুলে ১৫টা সোনার আংটি, গলায় চেন…’, ‘বিপিএল বিধায়ক’ মনোরঞ্জন ব্যাপারীর নিশানায় কে?
Manoranjan Bapari: অতীতেও দলের বিভিন্ন অংশের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন মনোরঞ্জন। দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে অবশ্য দল মনোরঞ্জনকে মুখ খুলতে বারণ করেছিল বলেই খবর। দলের সেই নির্দেশ মেনে দীর্ঘ দিন বিতর্কিত মন্তব্য থেকে দূরে ছিলেন।
কলকাতা: লোকসভার ভোটের মুখে আবার দলের একাংশকে খোঁচা মনোরঞ্জন ব্যাপারীর। তাঁর দাবি, হাতে সোনার আংটি, গলায় সোনার চেন নেই বলে তিনি বিধায়ক হয়ে উঠতে পারেননি। বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়কের এ হেন মন্তব্য কি কাউকে খোঁচা দিয়ে? সোনায় মোড়া শরীরই কি এখন বিধায়ক পরিচয়ের মাপকাঠি? বিতর্ক উস্কে দিলেন মনোরঞ্জন।
অতীতেও দলের বিভিন্ন অংশের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন মনোরঞ্জন। দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে অবশ্য দল মনোরঞ্জনকে মুখ খুলতে বারণ করেছিল বলেই খবর। দলের সেই নির্দেশ মেনে দীর্ঘ দিন বিতর্কিত মন্তব্য থেকে দূরে ছিলেন। তবে ভোটের মুখে আবারও বিধায়কদের জীবনশৈলী বা লাইফস্টাইল প্রসঙ্গ তুলে দলকে অস্বস্তিতে ফেললেন বিধায়ক।
ফেসবুকে মনোরঞ্জন লেখেন, ‘তিন বছর হয়ে গেল আমার বিধায়ক জীবনযাপন। এই তিন বছরে না আমি হয়ে উঠতে পারলাম পুরোপুরি বিধায়ক, না আমাকে কেউ মানতে পারলো আস্ত একটা বিধায়ক হিসাবে। আমার হাতের দশ আঙুলে বারো পনেরটা সোনার আংটি নেই, গলায় দশ তোলা সোনার চেন নেই, সেই সাড়ে তিনশো টাকা দামের ফতুয়া প্যান্ট – এ কেমন বিধায়ক! লোকে মানবে কেন আমাকে বিধায়ক বলে? পহেলা দর্শনধারী পিছে তো গুন বিচারি!’
বিধায়কের সংযোজন, ‘৮১ হাজার ৭৮০ টাকা বেতন পাই। যা থেকে কম বেশি বেতন দিয়ে ছয়জনকে পালন পোষণ করতে হয়, নিজের খাই খরচ আছে, তার উপর দু’জন সিকিউরিটি, একজন ড্রাইভারকেও খাওয়াতে হয়। আমার একটা অফিস আছে। সকাল বিকালে চায়েও শ’খানেক উড়ে যায়। একটা গাড়ি চড়ি। তাতেও কিছু খরচ লাগে। এত কিছুর পর সোনার স্বপ্ন দেখার সাহস হয় না। তাই বিধানসভায় আমার পরিচয় বিপিএল বিধায়ক হিসাবে। এমন বিধায়ককে কী ইতিহাস ক্ষমা করবে?’