Rachna Banerjee: ‘আমরা মেয়েরা কবে স্বাধীনভাবে ঘুরতে পারব?’, কেঁদে ফেললেন রচনা

Rachna Banerjee: আরজি করের নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে সরব হলেন তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, "এই অন্যায়ের প্রতিবাদ হওয়া উচিত। যত দ্রুত সম্ভব অপরাধীর শাস্তি পাওয়া উচিত। সবাইকে একজোট হতে হবে। আমরা সবাই আপনাদের সঙ্গে আছি।"

Rachna Banerjee: 'আমরা মেয়েরা কবে স্বাধীনভাবে ঘুরতে পারব?', কেঁদে ফেললেন রচনা
আরজি করের নৃশংস ঘটনার নিন্দা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 16, 2024 | 2:50 AM

কলকাতা: তিনি অভিনেত্রী। তিনি সাংসদ। তারও আগে তিনি কারও মেয়ে। কারও মা। আরজি করে ‘তিলোত্তমা’-র নৃশংস পরিণতি নিয়ে এবার গর্জে উঠলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই নৃশংস ঘটনার নিন্দা করতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন হুগলির তৃণমূল সাংসদ। সোশ্যাল মিডিয়ায় আরজি করের নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে বারবার গলা বুজে আসে। ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান রচনা।

এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি বলেন, “আমি আপনাদের সকলের সামনে এসেছি সাধারণ নাগরিক হিসাবে। আমি একজনের মা, একজনের মেয়ে। আজ ১৫ অগস্ট স্বাধীনতা দিবস। দেশ আমাদের স্বাধীন হয়েছে। আমরা কতটা স্বাধীন হয়েছি? সত্যিই কি আমরা স্বাধীন হয়েছি? আমরা কি স্বাধীনভাবে ঘুরতে পারছি? সারা ভারতবর্ষের মহিলারা কি আজ স্বাধীনভাবে ঘুরতে পারছে? দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ ,উত্তরপ্রদেশ, মণিপুর সেখানে একটার পর একটা ঘটনা। আমরা মেয়েরা কবে স্বাধীনভাবে ঘুরতে পারব? কলকাতার আরজি করের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। ভাষায় প্রকাশ করা যায় না, মুখে আনা যায় না যা ঘটেছে। আমরা প্রতিবাদের সুর তুলেছি। আওয়াজ তুলেছি। আমরা রাস্তায় হাঁটছি। আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। এরকম মহিলাদের আওয়াজ আমার মনে হয় না ভারতবর্ষে এর আগে কোথাও উঠেছে‌। তাই সব মহিলাদের আমি স্যালুট জানাই। আপনারা যা করেছেন তার জন্য আমি মহিলা হিসেবে আপনাদের সঙ্গে আছি। এই আওয়াজ উঠিয়ে রাখবেন যতক্ষণ না সুবিচার পায় ওই নির্যাতিতা। তাঁর বাবা মা যেন সুবিচার পান। দোষী যেন শাস্তি পায়।”

তিনি আরও বলেন, “দিনের শেষে যখন রাত করে কাজ সেরে গাড়ি করে বাড়ি ফিরি, অনেক মানুষ অনেক মেয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে ফেরে। বাসে ফিরে, কেউ ট্যাক্সিতে ফেরে। অনেকে অনেক কষ্ট করে ফেরে। আমার মনে হয় আমি বাড়িতে ঠিক ভাবে পৌঁছতে পারব তো? কেন হবে? মাথা উঁচু করে বাঁচব, মাথা উঁচু করে চলব। আমি একজনের বোন, একজনের মেয়ে। পুরুষ মানুষ আমাকে দেখে সম্মান করবে, আমাকে বাঁচানোর চেষ্টা করবে। আমি বিপদে পড়লে আমার হাত ধরে বাড়ি পৌঁছে দেবে এটাই তো পুরুষ মানুষের জাত হওয়া উচিত। তাদের জাত কি এমন হওয়া উচিত আমি কাঁদব, আমার আওয়াজ বাইরে পৌঁছবে না, আমাকে ছিঁড়ে খাবে? কেন হবে । আমাদের এর জন্য কঠিন পদক্ষেপ করতে হবে। ভারতীয় সংবিধানের বিচারব্যবস্থা এমন হতে হবে যে কোনও মেয়ের দিকে কোনও পুরুষ কুনজর দিতে পারবে না। তাদের শাস্তি এমন হবে যে তারা ভাববে এটা আমরা করব কি না। এরকম শাস্তি হওয়া উচিত।”

এই খবরটিও পড়ুন

দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “এই অন্যায়ের প্রতিবাদ হওয়া উচিত। যত দ্রুত সম্ভব অপরাধীর শাস্তি পাওয়া উচিত। সবাইকে একজোট হতে হবে। আমরা সবাই আপনাদের সঙ্গে আছি। কখনো ভাববেন না আমরা শিল্পী, রাজনীতির মানুষ আমাদের মন আপনাদের জন্য ভাবে না, কাঁদে না। ভারতবর্ষের যে সমস্ত মহিলারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাঁরা সকলেই সুবিচার পাক। উই ওয়ান্ট জাস্টিস।” সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের বক্তব্য জানাতে গিয়ে আরজি করের ‘তিলোত্তমা’-র নামও বলে ফেলেন রচনা।

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)