Abhishek Banerjee: ‘আমার পদবি বন্দ্যোপাধ্যায়…’, সদর্পে ঘোষণা অভিষেকের, কেন?
TMCP Foundation Day: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, 'আমার পদবি চোক্সি, মাল্য নয়। আমার পদবি বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরা মাথা উঁচু করে লড়তে জানি। মাথা নীচু করে, বশ্যতা স্বীকার করে দিল্লির কাছে আত্মসমর্পণ করতে জানি না।'
কলকাতা: চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিছুদিন আগেই ফিরেছেন শহরে। অভিষেকের বিদেশযাত্রার পর থেকে বিভিন্নভাবে খোঁচা দিতে শুরু করেছিল বিরোধী দলগুলি। তারপর এদিন মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমাবেশ থেকে সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘আমার পদবি মোদী, চোক্সি, মাল্য নয়। আমার পদবি বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরা মাথা উঁচু করে লড়তে জানি। মাথা নীচু করে, বশ্যতা স্বীকার করে দিল্লির কাছে আত্মসমর্পণ করতে জানি না।’
প্রসঙ্গত, রাজ্যের একাধিক ঘটনায় বর্তমানে তদন্ত করছে কেন্দ্রের দুই তদন্তকারী সংস্থা ইডি ও সিবিআই। সেই সূত্র ধরে এর আগেও একাধিকবার ইডি তলব করেছে অভিষেককে। কখনও দিল্লির অফিসে, কখনও কলকাতার অফিসে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও কেন্দ্রীয় সংস্থার অফিসে গিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন। বেরিয়ে এসে সদর্পে ঘোষণা করেছেন, তিনি কোনও দুর্নীতি বা বেনিয়মের সঙ্গে যুক্ত নন। সঙ্গে একাধিকবার হুঙ্কার দিয়েছেন, যদি তাঁর বিরুদ্ধে এক পয়সার দুর্নীতির অভিযোগ কেউ প্রমাণ করতে পারে, তিনি নিজে ফাঁসির মঞ্চে উঠে মৃত্যুবরণ করবেন। এদিন তৃণমূলের আগামী প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করার সময় আবারও সেই কথা শোনা গেল তৃণমূলের ‘সেকেন্ড ম্যান’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। একইসঙ্গে নিজের পদবি ‘বন্দ্যোপাধ্যায়’ স্মরণ করিয়ে জোর দিলেন বাঙালি সত্তা, বাঙালি ভাবাবেগেও।
অভিষেক বললেন, ‘আমি ২০২০ সালে চোখে চোখ রেখে যে কথা বলেছিলাম, আজও সেই একই কথা বলছি। আমার বিরুদ্ধে যদি এতটুকু প্রমাণ থাকে, ইডি-সিবিআই নয়… একটা ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করুন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গিয়ে মৃত্যু বরণ করবে। আজও বুক ঠুকে একই কথা বলে গেলাম।’
এদিন অভিষেকের ‘আমার পদবি বন্দ্যোপাধ্যায়’ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘কারও কি কোনও সন্দেহ আছে? আমাদের কোনও সন্দেহ নেই। উনি আর বিদেশ থেকে ফিরবেন না, এমন অভিযোগ কি কেউ করেছে? উনি এখন ইন্ডিয়া জোটের শরিক হয়েছেন। তাই রাহুল গান্ধীর সুরে কথা বলছেন।’