বিনয় মিশ্রের মামলার শুনানি হোক ভিডিয়ো কনফারেন্সে, হাইকোর্টে আবেদন আইনজীবী মনু সিংভির

বিনয় নাকি কলকাতা হাইকোর্টকে (Calcutta High Court) জানিয়েছে ১ লক্ষ ৩০ হাজার ডলার খরচ করে ভানুয়াটুরের নাগরিকত্ব ‘কিনেছেন’। সে সংক্রান্ত নথিও তিনি দাখিল করেছেন।

বিনয় মিশ্রের মামলার শুনানি হোক ভিডিয়ো কনফারেন্সে, হাইকোর্টে আবেদন আইনজীবী মনু সিংভির
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 07, 2021 | 3:47 PM

কলকাতা: শুনানি হোক ‘ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে’। হাইকোর্টে অনুমতি চাইল কয়লা পাচারকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত বিনয় মিশ্র। একইসঙ্গে অন্তবর্তী জামিনের সময় বাড়ানোরও আর্জি জানান তিনি। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই আবেদন জানানো হয়।

বিনয় মিশ্রের আর্জি, তিনি আপাতত এই দেশের বাসিন্দা নন। এ দেশের নাগরিকত্ব বাতিল করার জন্য তিনি ভারত সরকারের কাছে আবেদনও জানিয়েছেন বলেই শোনা যাচ্ছে। বিনয়ের দাবি, ২০১৮ সাল থেকে তিনি নাকি দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াটুর বাসিন্দা। তিনি সেখানেই থাকেন। কয়লাকাণ্ডে আপাতত তিনি অন্তর্বর্তী জামিনে রয়েছেন। যেহেতু তাঁর বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিশ জারি রয়েছে, সে ক্ষেত্রে তাঁর জন্য বেশ কিছু নিয়মও রয়েছে। এই নিয়মের মধ্যে থাকার কারণেই ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি মামলা করতে পারছেন না। আদালতের কাছে তাঁর আবেদন, কোভিড পরিস্থিতিতে এই শুনানি ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে করার অনুমতি দেওয়া হোক। সিবিআইয়ের তরফে পাল্টা বিচারপতিকে জানানো হয়েছে, বিনয় মিশ্রের দাবি একেবারেই অযৌক্তিক। তিনি ভারতেরই বাসিন্দা। আগামী বুধবার ফের এই মামলার শুনানি হবে।

আরও পড়ুন: ভানুয়াটুর নাগরিকত্ব পেতে পারেন আপনিও, বিনয় মিশ্রের কাছে তো মামুলি ব্যাপার

বিনয় মিশ্রের দাবি, ২০১৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি ভানুয়াটুর বাসিন্দা। সিবিআই তাদের মামলা দায়ের করেছে এর অনেক পরে। তাঁর নামও প্রথম দুই এফআইআরে ছিল না। এরপরই সোমবার বিনয় মিশ্রের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি আদালতে আর্জি জানান, বিনয় মিশ্রের মামলার শুনানি যাতে ভিডিয়ো কনফারেন্সে হয়। বিনয়ের অপর আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ বাড়ানোরও আর্জি জানান। যদিও এদিন এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত জানাননি বিচারপতি। আগামী বুধবার ফের এই মামলা শোনা হবে।

দীর্ঘদিন ধরেই গরু পাচার, কয়লা পাচারকাণ্ডে ব্যবসায়ী বিনয় মিশ্রের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে আসছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। গোয়েন্দাদের অভিযোগ, বিনয় মিশ্রের হাত দিয়েই গরু ও কয়লা পাচারের মোটা টাকা প্রভাবশালীদের কাছে যেত। তাঁকেই এই পাচারচক্রের অন্যতম পান্ডা বলে দাবি করেছেন সিবিআই-র গোয়েন্দারা। ইন্টারপোলে রেড কর্নার নোটিস জারি করেও বিনয়কে ধরতে পারেনি তারা।

এরইমধ্যে রবিবার জানা যায়, বিনয় নাকি দ্বৈত নাগরিকত্বের অধিকারী। ভারতের পাশাপাশি তিনি ভানুয়াটুরও নাগরিক। কলকাতা হাইকোর্টকে জানিয়েছে ১ লক্ষ ৩০ হাজার ডলার খরচ করে ভানুয়াটুরের নাগরিকত্ব ‘কিনেছেন’। সে সংক্রান্ত নথিও তিনি দাখিল করেছেন।