Kunal Ghosh: তোলাবাজি কাঁটায় বিব্রত তৃণমূল, মানিকতলার ভোটে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা কুণালের
Kunal Ghosh: লোকসভায় শহরাঞ্চলে ভোট কমার পরই তোলাবাজি নিয়ে সরব তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের একাংশের তোলাবাজির জন্য নির্বাচনী ফলাফলে পড়তে পারে পারে প্রভাব । কুণালের বক্তব্যে সতর্কবার্তা। একদিকে দক্ষিণে দুই কাউন্সিলরকে শো কজ। এরইমধ্যে উত্তরে নির্বাচনী সভায় তোলাবাজি নিয়ে সরব তৃণমূল নেতৃত্ব।
কলকাতা: তোলাবাজি রুখতে কাউন্সিলরকে সক্রিয় ভূমিকা নিতে নির্দেশ কুণাল ঘোষের। মানিকতলা উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে দলের একাংশের তোলাবাজি নিয়ে সরব কুণাল। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অমল চক্রবর্তীকে নির্দেশ দেন কুণাল। ওই ওয়ার্ডের কুমোর পাড়ায় তলাবাজির জেরে জেরবার ব্যবসায়ীরা। অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে কাউন্সিলর কে নির্দেশ কুণালের।
যে ভিডিয়ো সামনে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে কুণাল কাউন্সিলরের উদ্দেশ্যে স্পষ্টতই বলছেন, “ক্যানেল ইস্ট রোড থেকে অভিযোগ এসেছে। আমাদের সঙ্গে থাকা দু’একজন কোনও অন্যায় আবদার করছে। কোনও অবস্থায় দরকার হলে তুমি তাঁদের সঙ্গে কথা বলে নাও। কারও মনে যেন এতটুকু ক্ষোভ না থাকে। যার প্রভাব যেন উপনির্বাচনে না পড়ে, যেন কেউ রাগ দেখিয়ে না ফেলেন। সেটা করা যাবে না। যাঁরা করছে তাঁদের কাছে খবর চলে যাবে। নয় সিধে হবে নয় আইনের ব্যবস্থার মধ্যে পড়বে। সোজা কথা বলে দিলাম।”
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে বড় সাফল্য পাওয়ার পরেও তৃণমূল দেখছে শহরাঞ্চলের মানুষ মুখ ঘোরাচ্ছে শাসকদলের থেকে। তাতেই চিন্তায় ঘাসফুল শিবিরের একেবারে শীর্ষ নেতারা। দলে তোলাবাজি নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরব হয়েছেন দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এদিনই আবার সুব্রত বক্সী দক্ষিণের দুই কাউন্সিলরকে শো-কজও করেছেন। এদিকে কলকাতার ৪২ থেকে ৪৬টা ওয়ার্ডে তৃণমূলের থেকে এগিয়ে আছে বিজেপি। সেটা ভাবাচ্ছে ঘাসফুল শিবিরকে। তারমধ্যেই কুণালের এই সতর্কবাণী যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। যদিও কুনালের বক্তব্যের দ্বিমত প্রকাশ করতে দেখা গেল মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে। বললেন, “কাউন্সিলরের দায়িত্ব নয় তোলাবাজি দেখা। তোলাবাজি দেখার দায়িত্ব প্রশাসনের।”