Humayun Kabir: শোকজের উত্তরে ঢোঁক গিলেও উগরে দিলেন ক্ষোভ, কল্যাণের প্রসঙ্গ টেনে ফের ‘বিদ্রোহী’ হুমায়ুন
Humayun Kabir: হুমায়ুনের দাবি, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব, রাজ্য নেতৃত্বকে সংগঠনের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে জানিয়েও কোনও ফল হয়নি। শেষ লোকসভা নির্বাচনে তাঁর এলাকা থেকে তিনি প্রার্থীকে জয় দিলেও তার এলাকায় প্রার্থীর একটি অনুষ্ঠানে তাকে ডাকা হয়নি এমনটা দাবি করেছেন চিঠিতে হুমায়ুন।
কলকাতা: শোকজের জবাব দেওয়ার জন্য দেওয়া হয়েছিল তিনদিনের সময়। তার মধ্যেই উত্তর দিলেন। সেখানে খানিকটা সুর নরম করলেও ক্ষোভ প্রকাশও করলেন। সূত্রের খবর, জবাবি চিঠিতে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর লিখলেন, ‘আমার কোনও কথায় কেউ দুঃখ পেয়ে থাকলে আমি তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। তবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিতে বলা সত্ত্বেও দলের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, সেই কারণে হতাশা থেকেই ওই শব্দগুলো আমি বলে ফেলেছি। ওই শব্দগুলো বলার পিছনে নির্দিষ্টভাবে কোনও উদ্দেশ্য ছিল না।’
প্রসঙ্গত, দলে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্বের আবহে কিছুদিন আগেই দলের সেকেন্ড-ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে ব্যাট ধরেছিলেন হুমায়ুন। দলেরই কিছু নেতা অভিষেককে কোণঠাসা করছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। যা নিয়ে বিস্তর বিতর্কও হয়। অস্বস্তি তৈরি হয় ঘাসফুলের শিবিরের অন্দরে। শোকজ নোটিস পাঠানো হয় হুমায়ুনকে। তিনদিনের মধ্যে দিতে বলা হয় জবাব। যদিও শোকজের প্রত্যুত্তরেও নিজের ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন তিনি। বেশ কয়েকটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন।
হুমায়ুনের দাবি, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব, রাজ্য নেতৃত্বকে সংগঠনের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে জানিয়েও কোনও ফল হয়নি। শেষ লোকসভা নির্বাচনে তাঁর এলাকা থেকে তিনি প্রার্থীকে জয় দিলেও তার এলাকায় প্রার্থীর একটি অনুষ্ঠানে তাকে ডাকা হয়নি এমনটা দাবি করেছেন চিঠিতে হুমায়ুন। তবে শোকজের উত্তরে দেওয়া চিঠিতে হুমায়ুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি তাঁর নিঃশর্ত আনুগত্য প্রকাশ করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। কবিরের চিঠিতে এও বলা হয়েছে অপূর্ব সরকার এবং রবিউল আলম চৌধুরী তাঁরা পঞ্চায়েত টিকিট দেওয়ার জন্য টাকা নিয়েছেন। মলয় ঘটককে একাধিকবার অভিযোগ জানালেও পদক্ষেপ হয়নি। এমনকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর পি এ সুমিত দেকে বলেও কাজ হয়নি বলেছেন চিঠিতে বলে খবর।
একইসঙ্গে এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েও ফের কিছু বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা যায় হুমায়ুনকে। সুর চড়ান কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। উঠে আসে তৃণাঙ্কুরের প্রসঙ্গও। বলেন, “কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক ইস্যুতে আমার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। সেটা শৃঙ্খলার পর্যায়ে আসবে কী আসবে না সেটা আমার প্রশ্ন। কল্যাণ তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যকে আক্রমণ করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি কোনও ব্যবস্থা নেবে কিনা সেটা আমি লক্ষ্য করব।”