Kunal Ghosh attacks Suvendu: ‘তৃণমূলে ফেরার মহড়া দিতেই চিঠি লিখছেন শুভেন্দু’, কটাক্ষ কুণালের, ‘ফোবিয়া’ জবাব বিজেপির
Kunal Ghosh attacks Suvendu: “শুভেন্দু পুরনো দলে ফেরার আবেদন করার জন্য এখন থেকে মহড়া নিচ্ছেন। তৃণমূল নেতাদের কাছে চিঠি লিখে তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন।” ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য কুণালের।
কলকাতা: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আঁচে তপ্ত গোটা দেশের রাজনৈতিক মহল। যার প্রভাব পড়েছে বাংলাতেও। এদিকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপির(BJP) পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মূকে(Draupadi Murmu) সমর্থন করার জন্য ইতিমধ্যেই বাংলার তৃণমূল(Trinamool Congress) বিধায়ক-সাংসদদের চিঠি দিতে শুরু করেছেন পদ্ম শিবিরের শীর্ষনেতারা। এবার তা নিয়ে কটাক্ষবান শানাতে দেখা গেল তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে(Kunal Ghosh)। এ প্রসঙ্গে সুকান্ত-শুভেন্দু ব্রিগেডের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে কুণাল বলেন, “রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থীরা অন্য দলের ভোটারদের কাছে অর্থাৎ সাংসদ এবং বিধায়কদের কাছে যে ভোটদানের আবেদন করতে পারেন এটা পুরনো রীতি হিসাবে দেখা গিয়েছে। সেখানে স্বয়ং দ্রৌপদী মুর্মূ যে কোনও ফরম্যাটে, কোনও চিঠি, ফোন বা দেখা করে ভোট দেওয়ার আবেদন জানাতে পারেন। কিন্তু, হঠাৎ বঙ্গ বিজেপির এখানকার রাজ্য সভাপতি এবং বিরোধী দলনেতা চিঠি দিচ্ছেন বিরোধী শিবিরের লোকজনকে। সাংসদরা চিঠি পাচ্ছেন। এটা দেখে মনে হয় বিজেপির মধ্যে কোনও সমস্যা চলছে। সাংসদদের চিঠির জায়গায় বিরোধী দলনেতার কী ভূমিকা?”
এখানেই না থেমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রসঙ্গে কুণাল আরও বলেন, “স্বয়ং প্রার্থীর চিঠি আসার কথা সব জায়গায়। এটা রীতি। তিনি তো অন্য কাউকে দিয়ে এটা করতে পারেন না। অন্যদিকে এটা তো সর্বভারতীয় ব্যাপার। তাহলে সুকান্তবাবুর নাম আছে, শুভেন্দুবাবুর নাম আছে, কিন্তু সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের সই নেই কেন?”
কটাক্ষাবান শানিয়ে কুণাল আরও বলেন, “এদিকে ওনারা বারবার বলছেন ওনাদের জয় নিশ্চিত। জয় যদি নিশ্চিত হয় তাহলে বিজেপির তৃণমূলকে কেন প্রয়োজন? বিজেপির নেতারা তৃণমূলের কাছে ভোট চাইছেন কেন? এটা তো তৃণমূলের কাছে হাত পাতা হচ্ছে। বা এটাও হতে পারে, নিজেদের দলের ভোটারদের উপর আস্থা নেই, তাই অন্য জায়গায় হাত পাততে হচ্ছে। আমার মনে হয়, শুভেন্দু পুরনো দলে ফেরার আবেদন করার জন্য এখন থেকে মহড়া নিচ্ছেন। তৃণমূল নেতাদের কাছে চিঠি লিখে তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। পাপ করেছি, ভুল হয়েছে, ফিরিয়ে নিন। তলায় লেখা থাকবে শুভেন্দু অধিকারী। উপরে লেখা থাকবে তৃণমূলের নেতাদের নাম। অর্থাৎ সই এক থাকবে শুধু চিঠির বয়ানটা বদলে যাবে। সহজ কথায় তৃণমূলে ফেরার জন্য যে চিঠি লিখবেন শুভেন্দু তারই মহড়া দিতে এসব চিঠি লিখছেন।” যদিও কুণালকে পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। পদ্ম নেতা শমীক ভট্টাচার্য পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে বলেন, “শুভেন্দু ফোবিয়া আতঙ্কে ভুগছে তৃণমূল। তাই ওদের সবসময় ভয়। কিছু হলেই ওরা শুভেন্দুর ভূত দেখতে পাচ্ছে।”