বদলি হচ্ছেন কলকাতা হাইকোর্টের অন্যতম দুই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়
একটা দু’টো বছর নয়। বছরের পর বছর কাঁকুলিয়ার বাসিন্দা বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি মাত্র দু’টাকা নিয়ে মামলা শুনেছেন। বুধবার তাঁর অন্য রাজ্যে বদলি হওয়ার খবরে রীতিমতো মুষড়ে পরেছেন আইনজীবী, মামলাকারীরা।
শ্রাবন্তী সাহা: গরিব মানুষ বলে বিচার পাবেন না! তা আবার হয় নাকি? দু’টাকায় মামলা লড়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) অন্যতম ক্রিমিনাল (ফৌজদারি) মামলার আইনজীবী জয়মাল্য বাগচি। না, একটা দু’টো বছর নয়। বছরের পর বছর কাঁকুলিয়ার বাসিন্দা বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি মাত্র দু’টাকা নিয়ে মামলা শুনেছেন। বুধবার তাঁর অন্য রাজ্যে বদলি হওয়ার খবরে রীতিমতো মুষড়ে পরেছেন আইনজীবী, মামলাকারীরা।
আরেক বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়, যাঁকে সাধারণত জনসমক্ষে মিশতে দেখা যায় না, তিনিও বদলি হচ্ছেন মাদ্রাজ হাইকোর্টে। বিভিন্ন সময় শুনানি চলাকালীন বা রায় দিতে গিয়ে রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে এই বিচারপতিকে। এজলাসে তাঁর উপস্থিতি যতই রাশভারী থাক না কেন, এজলাসের একেবারে অন্য মানুষ বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনটাই মনে করেন কলকাতার আইনজীবীরা। গাড়ি চালাতে ভীষণ ভালবাসেন। বহুবার গাড়ির চালককে সরিয়ে দিয়ে নিজেই বসেছেন চালকের আসনে। দারুণ তুবড়ি তৈরি করতে পারেন। তাঁর মতো ঘুড়ি ওড়ানো জুড়ি মেলা ভার, বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের সদস্যরা এমনটাই মনে করেন।
হাইকোর্টের এই দুই স্বনামধন্য বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বদলি হয়ে যাচ্ছেন ভিন রাজ্যে। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি যাচ্ছেন অন্ধ্র প্রদেশ হাইকোর্টে। নারদা মামলা থেকে শুরু করে মদন মিত্রের গৃহবন্দি থাকার মতো মামলা শুনেছেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি।
আরও পড়ুন: ফাঁসিয়ে দিতে পারে রাজ্য পুলিস! রাজ্যপালকে বিস্ফোরক চিঠি শুভেন্দুর
অন্যদিকে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় মাদ্রাজের প্রধান বিচারপতি হয়ে যাচ্ছেন। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক সময়ে অন্যতম উল্লেখযোগ্য নির্দেশ ছিল, কোভিডে দুর্গাপুজোয় জনসমাগম নিষিদ্ধ করা। এর আগে বিচারপতি অশোক গাঙ্গুলি ও বিচারপতি ইন্দিরা ব্যানার্জি কলকাতা হাইকোর্ট থেকে মাদ্রাজ হাইকোর্টে যান।
দুই বিচারপতি রাজ্য সরকারকে যেভাবে সমালোচনা করেছেন, তার জন্য বারবার আলোচিত হয়েছে তাঁদের নাম। আইনজীবী মামলাকারীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন দু’জনেই। কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতির সংখ্যা কম, তারপর এক সঙ্গে এই দুই বিচারপতির চলে যাওয়া আসলে কলকাতা হাইকোর্টকে আরও দুর্বল করে দিল বলে মনে করছেন আইনজীবী মহলের অনেকেই।
আরও পড়ুন: ওমপ্রকাশের বিরুদ্ধে ‘ছেলে ডাকার’ অভিযোগ, ঘেরাও-বিক্ষোভ জেইউ-তে