Kolkata Medical College Hospital: আন্দোলনকারীদের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিকর্তার বৈঠকে মিলল না রফাসূত্র, মেডিক্যাল কলেজের নির্বাচন বিশ বাঁও জলে

Kolkata Medical College Hospital: প্রায় আড়াই ঘণ্টার বৈঠক শেষে মেডিক্যাল কলেজ থেকে বেরিয়ে যান স্বাস্থ্য কর্তারা। বৈঠক শেষে ভোটের জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম।

Kolkata Medical College Hospital: আন্দোলনকারীদের সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিকর্তার বৈঠকে মিলল না রফাসূত্র, মেডিক্যাল কলেজের নির্বাচন বিশ বাঁও জলে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 10, 2022 | 11:19 PM

কলকাতা : শেষবার নির্বাচন হয়েছিল ২০১৬ সালে। তারপর থেকে আর কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে (Kolkata Medical College Hospital) বাজেনি ছাত্র সংসদ নির্বাচনের (Election) দামামা। বারেবারে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন হলেও বাজেনি নির্বাচনী ঘণ্টা। এরমধ্যে বিগত কয়েকদিন ধরে ফের ছাত্র আন্দোলনে সরগরম মেডিকেল কলেজ চত্বর। ইতিমধ্যে নির্বাচনের দাবিতে অনশন শুরু করেছেন ৫ ছাত্র। এরমধ্যে শোনা যাচ্ছিল আগামী ২২ ডিসেম্বর হতে পারে নির্বাচন। এরইমধ্যে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিশের ডিসি এবং স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী। ছিলেন আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিরাও। তবে বৈঠকে মিলল না কোনও রফা সূত্র। 

প্রায় আড়াই ঘণ্টার বৈঠক শেষে মেডিক্যাল কলেজ থেকে বেরিয়ে যান স্বাস্থ্য কর্তারা। বৈঠক শেষে ভোটের জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। জানিয়ে দিয়েছেন ২২ তারিখ ভোট সম্ভব নয়। তবে আগামী সোমবার ডক্টরস কনভেনশনে এ বিষয়ে কথা হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। এরপর মঙ্গলবার স্বাস্থ্য সচিব আন্দোলকারীদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের দাবি দাওয়ার বিষয়ে কথা বলতে পারেন বলেও শোনা যাচ্ছে।

এদিকে নির্বাচনের দাবিতে অনড় আন্দোলনকারীরা। বৈঠক শেষে ছাত্ররা জানান তাঁদের দাবি না মানা হলে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এক আন্দোলকারী ছাত্র বলেন, “আমাদের কলেজে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ শিক্ষকরা আমাদের উপর শারীরিক নিগ্রহ করেছেন। খুনের হুমকি দিয়েছেন। আমাদের কলেজে ৬ তারিখ যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল, পাশাপাশি গোটা বাংলায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে যে অচলাবস্থা রয়েছে আমরা ইউনিয়নে আসলে সেগুলি নিয়ে কথা তুলব বলে আমাদের ইউনিয়ন গঠনে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আমরা মনে করছি আমাদের মেডিকেল কলেজের নানা সমস্যার কথা উঠে আসবে আমরা ইউনিয়ন গঠন করলে। এই কারণেই তৃণমূল ঘনিষ্ঠ লোকেরা আমাদের বাধা দিচ্ছেন।”