Subhas Sarkar Exclusive: ‘পশ্চিমবঙ্গকে ক্যান্সারে পরিণত হতে দেব না’, রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ-জটে চিন্তায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

Subhas Sarkar: সুভাষ সরকার বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থায় যা হয়েছে, তাতে মুখ দেখানো ভার হয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের কথা যখন অন্য় রাজ্যে আমাকে জিজ্ঞেস করে, তখন বলতে দ্বিধা হয়।"

Subhas Sarkar Exclusive: 'পশ্চিমবঙ্গকে ক্যান্সারে পরিণত হতে দেব না', রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ-জটে চিন্তায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 22, 2022 | 9:03 AM

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগের সামগ্রিক চিত্র বেশ অস্বস্তির রাজ্য সরকারের জন্য। একদিকে যেমন নিয়োগে দুর্নীতির (Recruitment Scam) অভিযোগ, তেমনই অন্যদিকে নিয়োগ সংক্রান্ত জটও কম কিছু নয়। রাজ্য সরকার এই জট কাটাতে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে বটে, কিন্তু চাকরিপ্রার্থীরা আশ্বস্ত হতে পারছেন না। তাঁরা বলছেন, কলকাতা এখন দুঃস্বপ্নের নগরী হয়ে উঠছে। আর ঠিক এমনই এক পরিস্থিতিতে রাজ্যে এই সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপির অন্যতম প্রধান মুখ সুভাষ সরকার (Subhas Sarkar)। টিভি নাইন বাংলাকে জানালেন, পশ্চিমবঙ্গের বর্তমানে যা অবস্থা, তাতে অন্য রাজ্যে বাংলার প্রতিনিধি পরিচয় দিতে লজ্জা লাগে।

সুভাষ সরকার বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থায় যা হয়েছে, তাতে মুখ দেখানো ভার হয়ে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের কথা যখন অন্য় রাজ্যে আমাকে জিজ্ঞেস করে, তখন বলতে দ্বিধা হয়। এত দুর্নীতি, যেখানে শিক্ষক নিয়োগে এই ক’বছরে যা ঘটেছে, হাইকোর্টের নির্দেশে যে তদন্ত হচ্ছে, তাতে টাকার পাহাড় বেরোচ্ছে। তাও হয়ত হিমশৈল চূড়ামাত্র। একের পর এক বেরিয়ে আসছে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এটিকে ভাল চোখে দেখছেন না, মানুষ বিদ্রোহ করছেন।”

তাঁর মতে, ভারতের কোথাও এর আগে এভাবে টাকা দিয়ে চাকরি হয়নি। তিনি বলেন, “এরকম হওয়াটা তো অন্যায়। টাকা দিয়ে চাকরি যদি হয়, যাঁরা চাকরি পাবেন, তাঁরা কি কোনও শিক্ষা দিতে পারবেন? পরবর্তী প্রজন্ম তো নষ্ট হয়ে যাবে।” সঙ্গে সুভাষ সরকারের আরও সংযোজন, “যদি একটি জায়গাতে ক্যান্সার হয়ে যায়, তাহলে ভারতের জন্য তা ক্ষতির। এটি আমাদের নজরে রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গকে আমরা ক্যান্সারে পরিণত হতে দেব না।”

উল্লেখ্য, রাজ্যে একদিকে যখন এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, অন্যদিকে নিজেদের দাবি নিয়ে আন্দোলনে সামিল টেট চাকরিপ্রার্থীরাও। সম্প্রতি করুণাময়ী চত্বরে অনশনে বসেছিলেন তাঁরা। রাতের অন্ধকারে পুলিশ তাঁদের সেখান থেকে হঠিয়ে দিয়েছিল। আর সেই নিয়ে জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে।