Kolkata Metro: সত্যিই লন্ডন হল কলকাতা! বিমানবন্দরে নেমেই মেট্রো পাবেন এবার, অপেক্ষা আর ক’দিন
Kolkata Airport: জানা যাচ্ছে,কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির তরফে পরিদর্শন করার পর ছাড়পত্র এসে গেলেই নোয়াপাড়া থেকে কলকাতা বিমানবন্দর মেট্রো পরিষেবা শুরু করতে আর সময় নেবে না কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ।

কলকাতা: আগামী এপ্রিল-মে মাসেই কি পরিষেবা শুরু হয়ে যাবে কলকাতা বিমানবন্দর বা জয় হিন্দ মেট্রো স্টেশনের? কলকাতা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান থেকে নেমেই মেট্রো পরিষেবা পেয়ে যাবেন সাধারণ মানুষ? কলকাতা মেট্রোর কর্তৃপক্ষের গলায় শোনা গেল এমনই আশার বাণী। জানা যাচ্ছে,কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির তরফে পরিদর্শন করার পর ছাড়পত্র এসে গেলেই নোয়াপাড়া থেকে কলকাতা বিমানবন্দর মেট্রো পরিষেবা শুরু করতে আর সময় নেবে না কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ জটিলতার পর অবশেষে কলকাতা বিমানবন্দর বা জয়হীন মেট্রো স্টেশন তৈরির কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছে রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড বা আরভিএনএল।
কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ প্রথমে অনুমতি দেয়নি। মাটির উপরে এই মেট্রো স্টেশন তৈরি হলে সমস্যা তৈরি হবে উড়ান পরিষেবায়, এমনটাই যুক্তি ছিল। দীর্ঘ আলোচনার পর অবশেষে ভূ-গর্ভে কাজ শুরু হয়।
এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এই মেট্রো স্টেশন তৈরি হয়েছে মাটির তলায়। নিউ গড়িয়া বা কবি সুভাষ থেকে বিমানবন্দরে এসে শেষ হচ্ছে অরেঞ্জ লাইন। অন্যদিকে নোয়াপাড়া বারাসাত মেট্রো করিডরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন কলকাতা বিমানবন্দর। সেই বৃহৎ মেট্রো স্টেশনের আনাচে – কানাচে ঘুরে দেখল TV9 বাংলা।
কী কী বিশেষত্ব এই মেট্রোর?
- মাটি থেকে প্রায় ১৪ মিটার নিচে মেট্রো স্টেশনটি তৈরি করা হয়েছে।
- মেট্রো স্টেশন থেকে তৈরি করা হয়েছে ৫টি প্ল্যাটফর্ম। যেগুলি এক একটি ১৮০ মিটার লম্বা।
- মেট্রো তরফে জানানো হয়েছে, নোয়াপাড়া থেকে বারাসত (হলুদ লাইন) মেট্রো প্রকল্পের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ১৮.১৩ কিমি।
- এই করিডরে ১২.৭৭ কিমি অংশে মাটির উপরে থাকা ব্রিজ দিয়ে যাবে। বাকি ৫.৩৬ কিমি অংশ ভূ-গর্ভে দিয়ে যাবে।
- এই প্রকল্পের মধ্যে নোয়াপাড়া থেকে কলকাতা বিমানবন্দর পর্যন্ত প্রায় ৭.০৪ কিমি অংশের কাজ শেষ।
- ইতিমধ্যেই নোয়াপাড়া থেকে দমদম ক্যান্টনমেন্ট (২.৮৪ কিমি) অংশে পরিদর্শনের পর কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি ছাড়পত্র দিয়েছেন।
- বাকি দমদম ক্যান্টনমেন্ট থেকে কলকাতা বিমানবন্দর মেট্রো স্টেশন (৪.২০ কিমি) অংশে আগামী এপ্রিল মাসে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির পরিদর্শন করার কথা রয়েছে।
- পরিদর্শনের পরই নোয়াপাড়া থেকে ভায়া দমদম ক্যান্টনমেন্ট হয়ে কলকাতা বিমানবন্দর পর্যন্ত মেট্রো চাকা গড়াবে।
- মোট ৫টি প্ল্যাটফর্মের মধ্যে ১ এবং ২ নম্বর প্ল্যাটফর্ম চালু করা হচ্ছে।
- নোয়াপাড়া থেকে বারাসাত পর্যন্ত সম্পূর্ণ মেট্রো পরিষেবা শুরু হয়ে গেলে ৩, ৪ এবং ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম কাজকর্ম বা পরিষেবার চালু করে দেওয়া হবে।
- মোট ৫টি গেট থাকছে এই জয় হিন্দ মেট্রো স্টেশনে। যার মধ্যে ১ নম্বর প্রবেশদ্বারটি একেবারেই বিমানবন্দরের গেটের মুখে থাকছে। ২ নম্বর গেট থাকছে ট্যাক্সি পার্কিং স্ট্যান্ডের কাছে।
- ৫ নম্বর গেটটি যশোর রোডের একদম নিকটে থাকছে। যাতে বাস থেকে নেমেই সাবওয়ে ব্যবহার করে মেট্রোতে পৌঁছে যেতে পারেন সাধারণ মানুষ।
- ৩ এবং ৪ নম্বর গেট থাকছে আড়াই নম্বর গেট এবং পুলিশ ব্যারাকের অংশের দিকে।
- জয় হিন্দ মেট্রো স্টেশনে থাকছে ৬টি সিঁড়ি, ৬টি লিফ্ট, ৯টি চলমান সিঁড়ি বা এসক্যালেটর।
- বিমানবন্দরের দিকে যে সাবওয়ে, সেখানে থাকছে ৩টি সিঁড়ি, ৪টি লিফট, ৬টি এসক্যালেটর।
- যশোর রোডের দিকে থাকা সাবওয়েতে থাকছে ২টি সিঁড়ি, ২টি লিফট, ৩টি এসক্যালেটর।
- বিমানবন্দরের দিকে থাকছে ৩৩০ মিটার লম্বা এবং ১১ মিটার চওড়া সাবওয়ে
- যশোর রোডের দিকে সাবওয়ে ২৭০ মিটার লম্বা এবং ১৩ মিটার চওড়া।
- বৃহৎ মেট্রো স্টেশন ছাড়াও তৈরি করা হচ্ছে ৪৮ মিটার ইয়ার্ড। যা দেশের মধ্যে বৃহত্তম। থাকছে ৭টি লাইন।





