Jadavpur University: পাঁচশো বছর আগে যাদবপুর ইউনিভার্সিটির নিচে সন্তোষী মায়ের মন্দির ছিল?
Jadavpur University: টিভি৯ বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল এবিভিপি-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শুভব্রত অধিকারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, “আমরা এটা সাপোর্ট করছি না। সোশ্যাল মিডিয়ায় তো অনেক কিছু ঘটে। আগে এটা যাচাই করে তারপর এ নিয়ে মন্তব্য করা উচিত বলে মনে করি।”

কলকাতা: ‘পাঁচশো বছর আগে যাদবপুর ইউনিভার্সিটির নিচে সন্তোষী মায়ের মন্দির ছিল’। যাদাবপুরকাণ্ডের আবহে এমনই এক ভাইরাল পোস্ট ঘিরে তুমুল শোরগোল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ৫ মার্চ রাত ৯টা বেজে ৩২ মিনিটে ‘কট্টর হিন্দু সুমন’ নামে একটি ফেসবুক প্রোফাইল থেকে এই পোস্ট করা হয়। মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। শোরগোল শুরু হয়েছে ক্যাম্পাসের অন্দরেও। যদিও বাম থেকে তৃণমূল কটাক্ষ করতে ছাড়েনি কেউই। আরএসএস-র ছাত্র সংগঠন এবিভিপি যদিও ‘খোঁজ না নিয়ে’ মন্তব্য করতে নারাজ।
টিভি৯ বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল এবিভিপি-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শুভব্রত অধিকারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, “আমরা এটা সাপোর্ট করছি না। সোশ্যাল মিডিয়ায় তো অনেক কিছু ঘটে। আগে এটা যাচাই করে তারপর এ নিয়ে মন্তব্য করা উচিত বলে মনে করি। মেধার উৎকর্ষ কেন্দ্র বলে গোটা দেশে যাদবপুরের পরিচিতি রয়েছে। সেটা যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে আমাদের সকলের নজর রাখা উচিত।” তবে যাদবপুর যে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হচ্ছেই তাও এদিন ফের একবার মনে করান শুভব্রত। খানিক হুঙ্কারের সুরেই বলেন, “যখন তখন সার্জিক্য়াল স্ট্রাইক করব। নকশাল মুক্ত যাদবপুর গড়ার জন্য যে টনিক যে ডোজ দেওয়া দরকার তাই আমরা দেব।”
অন্যদিকে ‘যাদবপুর-সন্তোষী মা’ নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধতেই কড়া প্রতিক্রিয়া এসেছে এসএফআই-র কাছ থেকেও। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআই আঞ্চলিক কমিটির সেক্রেটারি শৌর্যদীপ্ত রায় গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, “আমরা এটা সিরিয়াসলি নিচ্ছি না। তবে ওরা তো মসজিদের নিচে প্রায়ই নানা জিনিস খুঁজে পায়। এটা শুনে হাসি পাচ্ছে ঠিকই কিন্তু সতর্ক থাকারও প্রয়োজন রয়েছে। এটা ধীরে ধীরে ভয়ঙ্কর জায়গায় যাচ্ছে।” খানিক একই সুর তৃণমূলের গলাতেও। কটাক্ষবাণ শানিয়েছেন তৃণমূলের ছাত্র নেতা সুদীপ রাহাও। তিনি বলেন, “বাংলার ছাত্র সমাজ এই ধরনের ছ্য়াবলামোকে সমর্থন করে না। যাদবপুরের কতিপয় ছাত্রছাত্রীর জন্য গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের বদনাম হয়। সম্প্রতি ব্রাত্য বসুর সঙ্গে যা হয়েছে তার আমরা তীব্র নিন্দা করি। কিন্তু কোনও সাম্প্রদায়িক বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের নিচে কবে কোন মন্দির খুঁজে পাবে, ফেসবুকে পোস্ট ভাইরাল হবে, এটা হাস্যকর। এটা আসলে মানুষের কাছে একটা কমিক রিলিফ।”

এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার পর কোনও অজ্ঞাত কারণে ফেসবুক প্রোফাইলটির অস্তিত্ব মিলছে না। খবরের বিশ্বাসযোগ্যতা রাখার জন্য যোগ করে দেওয়া হল ওই প্রোফাইলের একটি স্ক্রিনশট।





