SFI vs TMCP: ‘খেলা হবে’র পাল্টা ‘চালিয়ে খেলার’ হুঙ্কার SFI-র, তৃণমূল বলছে, ‘হেলে ধরতে পারে না…’
SFI vs TMCP: যাদবপুরকাণ্ডের পরেই সোমবার রাজ্যজুড়ে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল এসএফআই। ধর্মঘটের আবহে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিচ্ছিন্ন অশান্তির ছবিও দেখা যায়। একাধিক কলেজে টিএমসিপি-র সঙ্গে এসএফআই কর্মীদের সংঘর্ষের ছবিও দেখা যায়।

কলকাতা: যাদবপুরকাণ্ডে শুরু থেকেই ছেড়ে কথা বলতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। অরূপ বিশ্বাস তো সাফ বলেছিলেন, যাদবপুর দখল করতে তাঁদের ১ মিনিট সময় লাগবে। ছেড়ে কথা বললেনি সায়নী ঘোষ থেকে কুণাল ঘোষের মতো নেতারা। এবার পাল্টা চালিয়ে খেলার হুঙ্কার এসএফআইয়ের। “তৃণমূল পুলিশের সাহায্যে ক্য়াম্পাসে ঢুকে মারধর করলে দেওয়া হবে পাল্টা জবাব। ইট মারলে পাটকেল খেতে হবে। ২০১১ থেকে ওরা ক্যাম্পাসে থ্রেট সিন্ডিকেট, ক্রাইম সিন্ডিকেট, দুর্নীতির সিন্ডিকেট চালিয়ে আসছে। ওরা যদি খেলা হবে পরিকল্পনা করে, তাহলে এবার আমরাও বলছি ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে চালিয়ে খেলা হবে।” এদিন এ ভাষাতেই সাংবাদিক বৈঠক থেকে হুঙ্কার দিলেন এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে।
প্রসঙ্গত, যাদবপুরকাণ্ডের পরেই সোমবার রাজ্যজুড়ে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল এসএফআই। ধর্মঘটের আবহে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিচ্ছিন্ন অশান্তির ছবিও দেখা যায়। একাধিক কলেজে টিএমসিপি-র সঙ্গে এসএফআই কর্মীদের সংঘর্ষের ছবিও দেখা যায়। এদিকে ইতিমধ্যেই যাদবপুরকাণ্ডের জল গড়িয়েছে আদালতে। আহত ছাত্র ইন্দ্রানুজ রায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তা নিয়ে চাপানউতোর চলছে। অন্যদিকে শাসকের উপর চাপ বাড়িয়ে চলেছে বামেরাও। রোজই নেওয়া হচ্ছে নিত্যনতুন কর্মসূচি। এরইমধ্যে এবার ফের হুঙ্কার সৃজন ভট্টাচার্যদের উত্তরসূরীদের।
এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে দেবাঞ্জন বলেন, “বহিরাগত গুন্ডারা যদি ক্যাম্পাসের মধ্যে ঢুকে ছাত্রীদের মারতে থাকে, যদি বহিরাগত গুন্ডারা পুলিশের সাহায্য় নিয়ে তৃণমূল-টিএমসিপি-পুলিশ এক হয়ে ক্যাম্পাসের মধ্যে মেয়েদের ধরে পেটাতে থাকে, রাস্তায় ফেলে মারতে থাকে তাহলে কী সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা আক্রমণকারীদের দিকে ফুল ছুঁড়বে? এটা ২০২৫ সাল। ওরা যদি খেলা হবের পরিকল্পনা করে থাকে তাহলে আমরাও বলছি ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে চালিয়ে খেলা হবে। এটার জন্য যেন সকলে প্রস্তুত হয়ে থাকে।” পাল্টা সুর চড়িয়েছে রাজ্যের শাসকদলও। তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কর ভট্টাচার্য খোঁচা দিয়ে বলেন, “হেলে ধরতে পারে না কেউটে ধরতে এসেছে। ওরা যখন এত বড় বড় লেকচার দেয় তখন শুনে হাসি পায়।”





