Covid Third Wave: ‘আমরা তৃতীয় ঢেউয়ের মধ্যে আছি’, বললেন বাংলার চিকিৎসকেরা, আতঙ্ক কতটা?

Covid Third Wave: ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কমছে, তাই আমরা আবার প্রথম ঢেউয়ের পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছি। এমনটাই দাবি করেছেন চিকিৎসকেরা।

Covid Third Wave: 'আমরা তৃতীয় ঢেউয়ের মধ্যে আছি', বললেন বাংলার চিকিৎসকেরা, আতঙ্ক কতটা?
অলংকরণ- অভিজিৎ বিশ্বাস
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 04, 2022 | 4:05 PM

কলকাতা : ওমিক্রন আর দরজায় কড়া নাড়ছে না, একেবারে প্রবল আকার নিয়ে ঢুকে পড়েছে অন্দরমহলে। গত কয়েকদিনের করোনা-চিত্র অন্তত সে কথাই বলছে। ওমিক্রনের হাত ধরে তৃতীয় ঢেউ আসছে কি না, এই প্রশ্নও উঠেছে। তবে এবার চিকিৎসেকরা সাফ জানিয়ে দিলেন, আমরা আর তৃতীয় ঢেউয়ের কিণারায় নেই, ঢেউ ইতিমধ্যেই আছড়ে পড়েছে। মঙ্গলবার এসএসকেএম থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চিকিৎসকেরা সতর্ক করলেন সাধারণ মানুষকে।

এ দিন বিশিষ্ট চিকিৎসক ড. দীপ্তেন্দ্র সরকার বলেন,  ‘আমরা তৃতীয় ঢেউয়ের মধ্যে আছি। কোনও সংশয় নেই।’ ড. অভিজিৎ চৌধুরীও বলেন, তৃতীয় ঢেউয়ের প্রাথমিক পর্যায়ে আছি। এর চরিত্র বুঝতে আর‌ও দু সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে। তিনি জানান, প্রাথমিক ভাবে ওমিক্রনের কামড়ের ক্ষমতা কম ভ্যাকসিনের গুণে, তবে সংক্রামক ক্ষমতা বেশি বলে ঘরে ঘরে করোনা দেখা দিতে পারে। বেপরোয়া মনোভাব নিয়ে সতর্ক করেন তিনি। তিনি বলেন , ‘হুল্লোড় বন্ধ হোক। আত্মবিধি লাগু হোক।’

আমরা প্রথম ঢেউয়ের পর্যায়ে

এ দিন চিকিৎসকেরা উল্লেখ করেন, পরিস্থিতি অনেকটা প্রথম ঢেউয়ের পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রথম পর্যায়ে যাঁরা টিকা নিয়েছিলেন অর্থাৎ চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী কিংবা বয়স্ক মানুষদের শরীরে সেই টিকার কার্যকারিতা অনেকটাই কমেছে। এ কথা উল্লেখ করে চিকিৎসকেরা জানান, ওই সব মানুষজনের আবারও করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়েছে। সেই কারণেই প্রতিদিন ৫০-৬০ জন চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন তাঁরা।

মৃত্যু হার বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক

চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার জানান, ইউকে-তে যখন ২ লক্ষ মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন, তখন দৈনিক মৃতের সংখ্যা ১৫০-র আশেপাশে। তাই চিকিৎসক মনে করেন ওমিক্রন খুব দুর্বল ভ্যারিয়েন্ট হলেও মৃত্যু হার বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক।

প্রেসক্রিপশন ছাড়া মোলনুপিরাভির নয়

চিকিৎসক মনে করিয়ে দেন, নিজেদের মতো ওষুধ কিনে এনে খাওয়ার ফলেই আগের বার মিউকরমাইকোসিসকে ডেকে আনা হয়েছিল। তাই এবার চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া যাতে কেউ মোলনুপিরাভির না খান, সে ব্যাপারে সতর্ক করেন তিনি। ভাইরাসের কী ধরনের চরিত্র বদল হয়েছে তা না জেনে অ্যান্টিবডি ককটেলে আস্থা রাখা বোকামি হতে পারে বলেও মন্তব্য চিকিৎসকদের। হোম আইসোলেশনে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। জানানো হয়েছে, প্যারাসিটামলই একমাত্র ওষুধ।

মূলত মাস্ক ব্যবহার করার কথা বলেন চিকিৎসকেরা। তাঁরা আরও বলেন, সতর্ক না হয়ে দিন গুনলেই ভাইরাস চলে যাবে না। একই সঙ্গে তাঁরা জানা, আর‌ও পাঁচদিন গেলে বোঝা যাবে, অক্সিজেন থেরাপি লাগছে কি না। আর্থিক লকডাউন করা উচিৎ বলেই উল্লেখ করেন তাঁরা। অর্থনীতির কথা মাথায় রেখে আইসোলেশনের মেয়াদ কমানোর আর্জিও জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

আরও পড়ুন : Kolkata COVID Situation: শহরের অভিজাত আবাসনে বাড়ছে সংক্রমণ, চিহ্নিত এলাকাগুলি দেখে নিন