Weather Update: কুয়াশায় ঢেকেছে গোটা শহর, স্যাঁতস্যাঁতে ভাব থাকলেও শীত অধরা! রোদ উঠবে কবে?
Weather Update: আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, সপ্তাহের শেষেই ফের নামতে পারে পারদ। ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় বৃষ্টি হয়েছে ৭৫ মিলিমিটার। গভীর নিম্নচাপ শক্তি হারিয়ে সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হয়
কলকাতা: বৃষ্টি হচ্ছে না। তবে সকাল থেকেই একটা স্যাঁতস্যাঁতে, ভিজেভিজে ভাব! কলকাতার আকাশ মেঘলা থাকবে সারাদিন। সকালের দিকে ঘন কুয়াশা। দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৮ শতাংশ। কলকাতায় বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, সপ্তাহের শেষেই ফের নামতে পারে পারদ। ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় বৃষ্টি হয়েছে ৭৫ মিলিমিটার। গভীর নিম্নচাপ শক্তি হারিয়ে সুস্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হয়। বাংলা-বাংলাদেশ লাগোয়া বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করে। উত্তর-পূর্ব অভিমুখে এগিয়ে বাংলাদেশের দিকে সরতে শুরু করে। ফলে বাংলাদেশ সংলগ্ন উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টি হয় সোমবার।
জওয়াদের সরাসরি প্রভাব না পড়লেও, নিম্নচাপের জেরে সোমবার দিনভর বৃষ্টি চলতে থাকে কলকাতা ও উকূলবর্তী এলাকাগুলিতে। একাধিক জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়। সমুদ্র উপকূল ও উপকূল সংলগ্ন জেলাগুলিতে হালকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হয় কলকাতা, হাওড়া, হুগলি সহ উপকূল সংলগ্ন জেলাগুলিতে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি নামবে দক্ষিণবঙ্গের বাকি সব জেলাতেই। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি আছে।
টিকিয়াপাড়া থেকে দাশনগর, লিলুয়া বা সালকিয়া। বড় রাস্তা থেকে অল-গলি সর্বত্র জমেছে জল। তবে আস্তে আস্তে জল নামতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার ঝকঝকে আবহাওয়ার প্রত্যাশায় জেলাগুলিও। টিকিয়াপাড়া থেকে দাশনগর, লিলুয়া বা সালকিয়া। বড় রাস্তা থেকে অল-গলি সর্বত্র জমেছে জল। তবে আস্তে আস্তে জল নামতে শুরু করেছে। ঝকঝকে আবহাওয়ার প্রত্যাশায় জেলাগুলিও।
দুর্যোগ কাটায় তাপমাত্রা নামার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে জাঁকিয়ে শীত কবে পড়বে? আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে বঙ্গে জাঁকিয়ে শীত পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে নিম্নচাপের এই বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন চাষিরা। মাঠ থেকে ধান তুলেও রেহাই নেই চাষিদের। ক্রমশই নতুন করে গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করেছে। আবারও ক্ষতির সম্মুখীন চাষিরা। নিম্নচাপের বৃষ্টিতে এমনিতেই ধান জমি থেকে আলু জমি ও সবজি জমিতে জল জমেছে। বৃষ্টিপাতের আগাম পূর্বাভাসে তড়িঘড়ি মাঠ থেকে ধান কেটে তুলে এনেছিলেন চাষিরা। কিন্তু নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক না থাকায় গ্রামে ঢুকতে শুরু করেছে মাঠের জল। যার ফলে বাড়ির পাশে রাখা ধানের গাদাতে জল ঢুকেছে। একপ্রকার বলা যায় সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছেন চাষিরা।