Weather Update: কলকাতা রেহাই পেলেও ভোগান্তি অপেক্ষা করে জেলার কপালে, বৃষ্টি বাড়বে সপ্তাহান্তে
Weather Update: ২৬ তারিখ নাগাদ আরেকটি নিম্নচাপ ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের কাছে আসবে। সেই সময় উপকূলের জেলাগুলোতে আবার বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কলকাতা: বেলা বাড়তেই অবিরাম বর্ষণে বিরতি এল কলকাতা-সহ তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় (Weather Update)। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও কমেছে বৃষ্টির (Rain Forecast) পরিমাণ। তবে জল যন্ত্রণার থেকে এখনই রেহাই মিলছে ভাবলে ভুল হবে। কারণ আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর নতুন করে আবারও ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হবে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে। এই ঘূর্ণাবর্ত পরবর্তী সময়ে, অর্থাৎ ২৬ তারিখ নাগাদ ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের কাছে আসবে। সেই সময় উপকূলের জেলাগুলোতে আবার বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনটাই খবর হাওয়া অফিস সূত্রে।
অন্যদিকে, গতকালকের নিম্নচাপটি এই মুহূর্তে দক্ষিণবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। নিম্নচাপটি উত্তর ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের দিকে এগোচ্ছে। এই নিম্নচাপের ফলে ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও দুই মেদিনীপুরে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে। বাকি জেলার মধ্যে হাওড়া, পুরুলিয়া ও পশ্চিম বর্ধমানের ভারী বৃষ্টি হবে। আগামিকাল পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে নিম্নচাপটি কলকাতা থেকে অনেকটা দূরে সরে যাওয়ার কারণে খুব বেশি বৃষ্টিপাত হবে না শহর ও তার আশেপাশের এলাকায়।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামিকাল পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত আকারে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে কলকাতায় ও দুই ২৪ পরগনায়। বুধবার কলকাতার আকাশ মেঘলা থাকবে। ঝলমলিয়ে রোদ ওঠার জন্য পরশু পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। বৃষ্টি কমবে তারপর। পরশু অর্থাৎ, লক্ষ্মীবার থেকে কলকাতার তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দুই মেদিনীরপুরে। আর এতেই ঘুম উড়েছে উপকূলবাসীর। ইতিমধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর ও পটাশপুর এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে নদী বাঁধ ভেঙে বিপাকে পড়েছে প্রায় কুড়ি হাজার পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় সত্তর হাজার পরিবার। ফের বৃষ্টির পূর্বাভাসে কপালে চিন্তার ভাঁজ প্রশাসনের। ইতিমধ্যে সরকারি নির্দেশ মেনে উদ্ধারকার্যে নেমেছে এনডিআরঅফ টিম। চলছে জলমগ্ন এলাকা থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারের কাজ। কয়েকটি এলাকায় ত্রাণ-ও পৌঁছে গিয়েছে। বিপদগ্রস্থ মানুষকে শুকনো খাওয়ার বিতরণ বিভিন্ন জায়গায়।